সৈয়দপুরে রেল গেটকিপার রাজিয়ার বদলে দায়িত্ব পালন করছে এক বাদাম বিক্রেতা
https://www.obolokon24.com/2019/12/saidpur_3.html
বিশেষ প্রতিনিধি॥ উত্তরবঙ্গে ব্যবসা বানিজ্য ও ব্যস্ততম সৈয়দপুর শহরের উপর দিয়ে রেললাইন বহমান। গিঞ্জি এই শহরে প্রধান দুইটি সড়কে রেলগেট রয়েছে দুটি। দিনে ও রাতে ট্রেন চলে ১০টিরও বেশী। দুটি রেলগেটের মধ্যে সৈয়দপুর থানা ও ডাকঘর সড়কে (সৈয়দপুর রেলওয়ের টি-১২৬ নম্বর গেটের দায়িত্বে রয়েছেন রাজিয়া খাতুন নামের একজন নারী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ মাসে একদিন বা দুইদিন ওই নারীকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেলেও সব সময় ওই বাদাম বিক্রেতা রফিবুল হাসান দায়িত্ব পালন করে আসছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রেলকর্মী জানায়, গেটকিপার রাজিয়ার বাড়ি এখানে না। তার বাড়ি দক্ষিনাঞ্চলের বরিশালে।
রেলওয়ের বিভাগীয় শহর সৈয়দপুর, সর্ববৃহৎ রেলওয়ে কারখানা, পাওয়ার ষ্টেশনসহ অনেক বড় বড় রেলওয়ে স্থাপনা রয়েছে এই শহরে। বৃটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত এই রেলওয়ে শহর বর্তমানে উত্তরাঞ্চলের ব্যস্ততম ব্যবসায়িক শহর। জনবহুল এই শহরের দুই মেরুর বাসিন্দা ও অফিসকর্মীদের যাতায়াতের মূল সড়ক দুটির মাঝে দুটি রেলগেট রয়েছে। তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য ও ব্যস্ততম রেলগেট হচ্ছে সৈয়দপুর থানা ,পোষ্ট অফিস ও রেলওয়ের পুলিশ সুপার অফিস সংলগ্ন রেলগেট।
সোমবার (২রা ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় দেখা গেল এই রেলগেটটির দায়িত্বে আছেন রফিবুল হাসান নামে জনৈক বাদাম বিক্রেতা। তাকে এই দায়িত্বের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন রাজিয়া খাতুন নামে একজন মহিলা এই গেটের দায়িত্বে আছেন। তিনি স্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত। বাড়ি তার নাকি বরিশালে। সৈয়দপুরে সাহেবপাড়া মহল্লায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। প্রতিদিন তার আট ঘন্টা করে ডিউটি । তাই এই গেটে সময় মতো দায়িত্ব পালন করতে না পারায় আমাকে (বাদাম বিক্রেতা) এই গেটের দায়িত্ব দিয়ে গেছেন ওই মহিলা। আমি বহুদিন থেকেই তার হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছি। তার হয়ে আমি আট ঘন্টা পর পর দায়িত্ব পালন করি। ট্রেন এলে গেট বন্ধ করেন। ট্রেন গেলে গেট খুলে দেন। এ জন্য মাস গেলে রাজিয়া আপা বেতন তুলে তাকে কিছু টাকা হাতে ধরিয়ে দেন। বাদাম বিক্রেতা জানান তার বাড়ি দিনাজপুরের ফুলবাড়ি।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর ষ্টেশনে গিয়ে সহকারী ষ্টেশন মাষ্টার শওকত আলীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি টেলিফোনে উক্ত গেটে ফোন করলে জানতে পারেন এই বাদাম বিক্রেতা রেলগেটের দায়িত্বে আছেন। বিষয়টির সত্যতা পেয়ে তিনি লজ্জিত হন এবং বলেন যে আমরা ইতিপূর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত গেটকীপারকে সতর্ক করেছিলাম। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। #
এলাকাবাসীর অভিযোগ মাসে একদিন বা দুইদিন ওই নারীকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেলেও সব সময় ওই বাদাম বিক্রেতা রফিবুল হাসান দায়িত্ব পালন করে আসছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রেলকর্মী জানায়, গেটকিপার রাজিয়ার বাড়ি এখানে না। তার বাড়ি দক্ষিনাঞ্চলের বরিশালে।
রেলওয়ের বিভাগীয় শহর সৈয়দপুর, সর্ববৃহৎ রেলওয়ে কারখানা, পাওয়ার ষ্টেশনসহ অনেক বড় বড় রেলওয়ে স্থাপনা রয়েছে এই শহরে। বৃটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত এই রেলওয়ে শহর বর্তমানে উত্তরাঞ্চলের ব্যস্ততম ব্যবসায়িক শহর। জনবহুল এই শহরের দুই মেরুর বাসিন্দা ও অফিসকর্মীদের যাতায়াতের মূল সড়ক দুটির মাঝে দুটি রেলগেট রয়েছে। তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য ও ব্যস্ততম রেলগেট হচ্ছে সৈয়দপুর থানা ,পোষ্ট অফিস ও রেলওয়ের পুলিশ সুপার অফিস সংলগ্ন রেলগেট।
সোমবার (২রা ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় দেখা গেল এই রেলগেটটির দায়িত্বে আছেন রফিবুল হাসান নামে জনৈক বাদাম বিক্রেতা। তাকে এই দায়িত্বের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন রাজিয়া খাতুন নামে একজন মহিলা এই গেটের দায়িত্বে আছেন। তিনি স্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত। বাড়ি তার নাকি বরিশালে। সৈয়দপুরে সাহেবপাড়া মহল্লায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। প্রতিদিন তার আট ঘন্টা করে ডিউটি । তাই এই গেটে সময় মতো দায়িত্ব পালন করতে না পারায় আমাকে (বাদাম বিক্রেতা) এই গেটের দায়িত্ব দিয়ে গেছেন ওই মহিলা। আমি বহুদিন থেকেই তার হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছি। তার হয়ে আমি আট ঘন্টা পর পর দায়িত্ব পালন করি। ট্রেন এলে গেট বন্ধ করেন। ট্রেন গেলে গেট খুলে দেন। এ জন্য মাস গেলে রাজিয়া আপা বেতন তুলে তাকে কিছু টাকা হাতে ধরিয়ে দেন। বাদাম বিক্রেতা জানান তার বাড়ি দিনাজপুরের ফুলবাড়ি।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর ষ্টেশনে গিয়ে সহকারী ষ্টেশন মাষ্টার শওকত আলীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি টেলিফোনে উক্ত গেটে ফোন করলে জানতে পারেন এই বাদাম বিক্রেতা রেলগেটের দায়িত্বে আছেন। বিষয়টির সত্যতা পেয়ে তিনি লজ্জিত হন এবং বলেন যে আমরা ইতিপূর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত গেটকীপারকে সতর্ক করেছিলাম। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। #