বঙ্গবন্ধুর জীবন্ত প্রতিচ্ছবি আরুক মুন্সী প্রধানমন্ত্রীর স্বামীর কবর জেয়ারত করলেন!

মামুনুর রশিদ মেরাজুল, পীরগঞ্জ থেকে ঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবন্ত প্রতিচ্ছবি মোঃ আরুক মুন্সী (৫০)। তিনি রোববার রাতে পীরগঞ্জে আসেন। আরুক মুন্সীকে একনজর দেখার জন্য বৃষ্টির মধ্যেই অসংখ্য মানুষ পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে ভীড় জমায়। সোমবার সকালে তিনি উপজেলার ফতেপুরে বঙ্গবন্ধুর বড় জামাতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী বিশিষ্ট পরমানু বিজ্ঞানী প্রয়াত ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার কবরস্থানে পুষ্প্যমাল্য অর্পন শেষে জেয়ারত করেছেন।
এ সময় ইসলামী সঙ্গীত শিল্পী নুর মোহাম্মদ সিরাজী (সাতক্ষীরা), বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক সামছুন্নাহার তার সাথে ছিলেন।
আরুক মুন্সী জানান, ১৯৬৯ সালে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কামারোল গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। বাবা জহুর মুন্সী। নদীভাঙ্গনে দাদার জমিজমা সম্পুর্ন নদীগর্ভে গেলে আমরা নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার চরসুচাইল গ্রামে চলে আসি। সেখানেই বসবাস করছি। স্কুল জীবন থেকেই আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে আসক্ত হয়ে পড়ি। আমি এখন বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। জীবিকার তাগিদে ১৯৮৭ সালে ঢাকায় চলে আসি। ঢাকায় যেখানেই আ’লীগের জনসভা হতো সেখানেই যেতাম। আমি নেতা নই, একজন ক্ষুদে কর্মী হিসেবে আ’লীগ করি। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক।
তিনি আরও জানান, ১৯৯৩ সালে বিদ্যুতের ডেসা’য় চাকরীতে যোগদান করি। বর্তমানে বিদ্যুতের সেই বিভাগটি ‘ডিপিডিসি’ নামে পরিচিত। গোপালগঞ্জে বাড়ী হওয়ার কারণে বিএনপি সরকার আমলে চাকরীতে পদে পদে নির্যাতন সইতে হয়েছে বলে তিনি আক্ষেপ করে বলেন। রোববার রাতে তিনি পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর মধ্যে যদি লোভ-লালসা থাকতো। তাহলে এদেশ স্বাধীন হতো না। পক্ষান্তরে সোনায় মোড়ানো জীবন পেতেন বঙ্গবন্ধু। সবকিছুকে জলাঞ্জলি দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন বলেই আমরা বাংলাদেশ বলতে পারি, বাংলায় কথা বলি। অথচ ওই মহান ব্যক্তিকেই একটি কুচক্রী মহল নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি কার্যকর চাই।
বঙ্গবন্ধুর চেহারার সাথে সাদৃশ্য হওয়ায় আপনি কোন সমস্যায় পড়েন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, নানান সমস্যা হয়। যখন পথ চলি, অনেকেই ছবি তোলার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এতে কাজ কর্মের ব্যাঘাত হয়। বঙ্গবন্ধু মানুষের হৃদয়ে কতটা স্থান দখল করে আছেন, তা ভেবে ভাল লাগে। আসলে বঙ্গবন্ধুর বিকল্প বঙ্গবন্ধুই। তার তুলনা হয় না।
সোমবার তিনি উপজেলার ফতেপুরে মিয়াবাড়ীর কবরস্থানে শায়িত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী বিশিষ্ট পরমানু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার কবর জেয়ারত করেন। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রীর ভাতিজা পৌর মেয়র ও উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক তাজিমুল ইসলাম শামীমের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
আরুক মুন্সী ২ মেয়ে ও ১ ছেলের জনক। সবাই লেখাপড়া করছে বলে জানা গেছে।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 3071609400743260015

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item