সৈয়দপুরে ছেলের খামারে গিয়ে বাবা-মা খুন-হত্যার দায় স্বীকার করে কেয়ার টেকারের আদালতে জবাববন্দী

তোফাজ্জল হোসেন  লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
 নীলফামারীর সৈয়দপুরে বড় ছেলের গড়ে তোলা গবাদি পশুর খামার দেখাশুনা করতে গিয়ে বাবা-মা খুনের ঘটনায় হওয়ার মামলার সন্দেহভাজন প্রধান আসামী আব্দুর রাজ্জাককে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) নীলফামাীর সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে তাকে রিলিজ দেওয়ার পর পরই হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে তাকে নীলফামারী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় নৈশ প্রহরী আব্দুর রাজ্জাক ওই আদালতের বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জাহিদুল ইসলাম খামারে দম্পতি খুনের সন্দেহভাজন প্রধান আসামী আব্দুর রাজ্জাকের জবানন্দী রেকর্ড করেন।
 আদালতের একটি সূত্রে জানা গেছে, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে নৈশপ্রহরী আব্দুর রাজ্জাক দম্পতি নজরুল ইসলাম ও সালমা খাতুনকে একাই খুন করেছেন বলে স্বীকার করেন। তিনি বলেন মূলতঃ বারংবার ছুটি চেয়েও ছুটি না পাওয়া, অকারণে গালমন্দ করা এবং পরকীয়ার অপবাদ দেওয়ার ক্ষোভ থেকে তিনি ওই দম্পতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেন। ঘটনার দিন ভোরে প্রথমে তিনি গৃহবধূ সালমা খাতুনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এ সময় গৃহবধূর স্বামী নজরুল ইসলাম এগিয়ে এলে তাকে ছুরিকাঘাতে মারাত্মক জখম করেন নৈশপ্রহরী আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় দম্পতির ছুরি আঘাতে তিনি (নৈশ প্রহরী) গলায় জখমপ্রাপ্ত হন। নৈশ প্রহরী আব্দুর রাজ্জাক মূলত মনের তীব্র ক্ষোভ থেকেই তাদের আঘাত করে।  এ সময় তার আঘাতে ওই দম্পতি গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হলে তাদের পুরোপুরি হত্যার পরিকল্পনা করে। পরে দুর্বৃত্তদের ওপর দায় চাপানোর ফন্দি থেকে তাদের হত্যা করে। এরপর সে নিজেই গুরুতর আহত হওয়ার ভান করে ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথম রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর সেকান থেকে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে তাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হলে গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয় তাকে। আর রিলিজ পাওয়ার পর পরই সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত,  সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের মুধুপুর বালাপাড়া ছেলে গড়ে তোলা একটি গবাদিপশু র খামার দেখাশুনা করতে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন হন নজরুল ইসলাম ও সালমা খাতুন দম্পতি। নিহত দম্পতির বড় ছেলে সোহেল রানা এলাকার হাজী আসলাম উদ্দিনের ১৮০ শতক জমিতে ওই গবাদিপশুর খামারটি গড়ে তোলেন। এ খুনের ঘটনর একদিন পর ২৮ জানুয়ারী দম্পতির বড় ছেলে মো. সোহেল রানা ৪জন সন্দেহভাজন আসামীর নাম উল্লেখপূর্বক সৈয়দপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সৈয়দপুর থানার মামলা নং-১৭,তারিখ:২৮/০১/২০১৯ইং।     

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3013597690622276681

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item