শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা পীরগাছায় স্কুলের ভবন বিক্রি করে দিলেন সেই প্রধান শিক্ষক
https://www.obolokon24.com/2019/02/pirgasa.html
ফজলুর রহমান,পীরগাছা (রংপুর)ঃ
রংপুরের পীরগাছায় সাতদরগা উচ্চ বিদ্যালয়ে গাছ বিক্রি করা সেই প্রধান শিক্ষক মোন্নাফ আলী শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশের পরও তিনি মামলা করেননি। উল্টো ওই বিদ্যালয়ের একটি পুরাতন ভবন কোন অনুমতি ছাড়াই নামমাত্র মুল্যে বিক্রি করে দিয়েছেন।
সরেজমিনে ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সাতদরগা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোন্নাফ মিয়া যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্ণীতি জড়িয়ে পড়েন। সম্প্রতি তিনি বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মানের জন্য অনুমতি ছাড়াই ১০টি মুল্যবান গাছ বিক্রি করে দেন। যার আনুমানিক মুল্য প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকা। এরপর তিনি উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে স্থানীয় নুর আলম ও মহুবার রহমান নামে দুই ব্যক্তির নামে গাছ চুরির অপপ্রচার চালাতে থাকেন। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাছ কর্তনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর প্রধান শিক্ষককে মামলা করার নির্দেশ দিলেও তিনি তা কর্ণপাত করছেন না।
অপরদিকে প্রধান শিক্ষক একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় স্থানীয় লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে যা খুশি তাই করছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি ছাড়াই বিদ্যালয়ের ৫ লাখ টাকা মুল্যের একটি পুরাতন ভবন বিক্রি করে দিয়েছেন। এছাড়া তিনি বিদ্যালয়ের সামনের ভাড়াকৃত ২০টি দোকানের ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে চাপ প্রয়োগ করে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে অতিরিক্ত জামানত আদায় করে পকেটস্থ করেছেন। প্রধান শিক্ষকের অপকর্ম ও নানা অনিয়ম কর্মকান্ডে স্কুলের কোন শিক্ষক ও এলাকাবাসী মুখ খুললে তিনি তাদের নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখান এবং হয়রানী করে থাকেন। ফলে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পান না।
এদিকে প্রধান শিক্ষক যাদের বিরুদ্ধে গাছ চুরির অভিযোগ এনেছেন সেই নুর আলম ও গাছ ক্রেতা মহুবার রহমানের সাথে যোগায়োগ করা হলে তারা জানান, আমি একটি গাছ ৩২ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেছি। ঘনবসতি বাজারের মধ্যে থেকে গাছ চুরির প্রশ্নেই আসে না।
এসব বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোন্নাফ আলীর সাথে যোগায়োগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সময় পাচ্ছি না। তাই গাছ চুরির বিষয়ে মামলা করা হয়নি। বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন বিক্রি ও দোকান ভাড়ার বিষয়ে কথা বললে তিনি তা এড়িয়ে যান।
এ ব্যাপারে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাউজুল কবির বলেন, প্রধান শিক্ষক কি কারণে মামলা করেনি তা জানিনা। এছাড়াও তিনি পুরাতন স্কুল ভবন বিক্রির বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান।
রংপুরের পীরগাছায় সাতদরগা উচ্চ বিদ্যালয়ে গাছ বিক্রি করা সেই প্রধান শিক্ষক মোন্নাফ আলী শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশের পরও তিনি মামলা করেননি। উল্টো ওই বিদ্যালয়ের একটি পুরাতন ভবন কোন অনুমতি ছাড়াই নামমাত্র মুল্যে বিক্রি করে দিয়েছেন।
সরেজমিনে ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সাতদরগা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোন্নাফ মিয়া যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্ণীতি জড়িয়ে পড়েন। সম্প্রতি তিনি বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মানের জন্য অনুমতি ছাড়াই ১০টি মুল্যবান গাছ বিক্রি করে দেন। যার আনুমানিক মুল্য প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকা। এরপর তিনি উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে স্থানীয় নুর আলম ও মহুবার রহমান নামে দুই ব্যক্তির নামে গাছ চুরির অপপ্রচার চালাতে থাকেন। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাছ কর্তনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর প্রধান শিক্ষককে মামলা করার নির্দেশ দিলেও তিনি তা কর্ণপাত করছেন না।
অপরদিকে প্রধান শিক্ষক একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় স্থানীয় লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে যা খুশি তাই করছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি ছাড়াই বিদ্যালয়ের ৫ লাখ টাকা মুল্যের একটি পুরাতন ভবন বিক্রি করে দিয়েছেন। এছাড়া তিনি বিদ্যালয়ের সামনের ভাড়াকৃত ২০টি দোকানের ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে চাপ প্রয়োগ করে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে অতিরিক্ত জামানত আদায় করে পকেটস্থ করেছেন। প্রধান শিক্ষকের অপকর্ম ও নানা অনিয়ম কর্মকান্ডে স্কুলের কোন শিক্ষক ও এলাকাবাসী মুখ খুললে তিনি তাদের নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখান এবং হয়রানী করে থাকেন। ফলে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পান না।
এদিকে প্রধান শিক্ষক যাদের বিরুদ্ধে গাছ চুরির অভিযোগ এনেছেন সেই নুর আলম ও গাছ ক্রেতা মহুবার রহমানের সাথে যোগায়োগ করা হলে তারা জানান, আমি একটি গাছ ৩২ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেছি। ঘনবসতি বাজারের মধ্যে থেকে গাছ চুরির প্রশ্নেই আসে না।
এসব বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোন্নাফ আলীর সাথে যোগায়োগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সময় পাচ্ছি না। তাই গাছ চুরির বিষয়ে মামলা করা হয়নি। বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন বিক্রি ও দোকান ভাড়ার বিষয়ে কথা বললে তিনি তা এড়িয়ে যান।
এ ব্যাপারে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাউজুল কবির বলেন, প্রধান শিক্ষক কি কারণে মামলা করেনি তা জানিনা। এছাড়াও তিনি পুরাতন স্কুল ভবন বিক্রির বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান।