জলঢাকায় দশম শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষন।ধর্ষককে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ১৮ ফেব্রুয়ারি॥ সনাতন ধর্মের এক দশম শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনায় ধর্ষনকারীকে গ্রেফতার ও ফাঁসীর দাবিতে ঝাড়–-বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের বেরবন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের শতশত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। আজ সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১২টা হতে ঘন্টাকালব্যাপী এই কর্মসুচি পালন করা হয়। ধর্ষিতা উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। 
এদিকে আজ সোমবার সকালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয় জেলা সদর আধুনিক সদর হাসপাতালে। মেডিকেল অফিসার ডাঃ লাকী আক্তার জানান ধর্ষনের আলামত পাওয়া গেছে।

জানা যায়, উক্ত ইউনিয়নের দক্ষিন বেরুবাড়ি লক্ষ্মীমারী গ্রামের সনাতন ধর্মের ওই স্কুল ছাত্রীকে স্কুল যাওয়া আসার সময় উত্ত্যক্ত করতো একই ইউনিয়নের চেংমারীপাড়ার মনির উদ্দিরে ছেলে মানিক মিয়া(৪০)। মানিক মিয়ার বেরুবন্দ বাজারের এক সাইডে খোলাবাজারে জ্বালানী তেল ও কিটনাশক বিক্রির দোকান ও গুদাম ঘর রয়েছে। মেয়েটি স্কুলে আসার সময় উক্ত মানিক তার মোবাইলে মেয়েটির ছবি তুললো ও ক্যু-প্রস্তাব দিতো। ঘটনা দিন গতকাল রবিবার(১৭ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০টার দিকে স্কুল আসার পথে মেয়েটিকে একা পেয়ে জোড়পূর্বক ধরে মানিক তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গুদাম ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষনের পর মেয়েটিকে ভয়ভিতি দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। মেয়েটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজন তাকে জলঢাকা হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জলঢাকা পুলিশকে জানায়। ঘটনা জানতে পেরে ওইদিন  রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। ধর্ষককে গ্রেফতারে অভিযান চালালেও তাকে ধরতে পারেনি। এ ঘটনায় রাতেই মামলা করা হয় সংশ্লিষ্ট থানায়। 
ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃস্টি করলে আজ সোমবার উক্ত স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী ধর্ষক মানিককে গ্রেফতারসহ তার ফাঁসীর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখের ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইদুল ইসলাম সহ শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগ উক্ত ধর্ষক মানিক মিয়া বিভিন্ন স্কুল ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসতো। এ নিয়ে তাকে একাধিকবার সর্তক করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সে এবার ধর্ষনের মতো জঘন্য ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে গেছে। 
জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান ঘটনা জানার পর রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রুহুল আমিন সহ আমরা ঘটনাস্থলে যাই ও আসামীকে ধরকে অভিযান চালানো হয়। আসামী তার ব্যবহৃত মোবাইল ফেলে পালিয়ে গেলে সেই মোবাইলটি জব্দ করা হয়েছে। মোবাইলে আসামী মানিক মেয়েটির বেশ কিছু ছবি তুলে রেখেছে তার প্রমান পাওয়া গেছে।#

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7261941695917762737

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item