ফলোআপ-সৈয়দপুরে খামারে দম্পতি হত্যাকান্ডের ক্লু উদ্ধার হয়নি


তোফাজ্জল হোসেন লুতু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
 নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৩৬ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও খামারে দম্পতি হত্যাকান্ডের কোন ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তবে স্বল্প সময়ের মধ্যেই এ ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনসহ জড়িতদের সনাক্তের আশাবাদ পুলিশের। তারা মূলত ঘটনায় দুষ্কৃতিকারীদের হাতে আহত খামারের নৈশ প্রহরীকে সামনে রেখে তদন্ত কাজে এগুচ্ছেন। তবে সে জিজ্ঞাসাবাদে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিন্তু তারপরও পুলিশ নৈশ প্রহরী আব্দুর রাজ্জাক সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। তারা বলছে নৈশ প্রহরী সম্পূর্ণ হয়ে উঠলেই ঘটনার বিষয়ে মুখ খুলবে সে। বর্তমান সে সৈয়দপুর থানা পুলিশের প্রহরায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে তাঁর অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, এ ঘটনার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হাতে আটক খামারের জমির মালিক হাজী আসলাম উদ্দিন ও তাঁর দুই ছেলেসহ আটক ৬জনকে  প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজমল হোসেনের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ঘটনার তদন্তের প্রয়োজনে তাদের আবারও থানা এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অপরদিকে, নজরুল ইসলাম ও সালমা খাতুন দম্পতি হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। রবিবার রাতে নিহত দম্পতির ছেলে সোহেল রানা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে ওই মামলা দায়ের করেন। আর লোমহর্ষক ঘটনায় এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন  সৈয়দপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতাউর রহমান। মামলার তদন্তভার পেয়ে গতকালই (সোমবার) তিনি তদন্তের কাজ শুরু করেছেন।
এলাকার একটি সূত্র জানায়, ঘটনার পর থেকে এলাকার সাধারণ মানুষ মারাত্মক আতঙ্কে ভুগছেন। বিশেষ করে এলাকাটি হিন্দু অধ্যূষিত হওয়ায় ওই সম্প্রদায়ের মানুষ চরম ভয়ভীতির মধ্যে রয়েছেন। গত রবিবার রাতে এলাকার পরিবারগুলোর অনেক পুরুষ সদস্য নিজ নিজ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র রাত কাটিয়েছেন।
সোমবার সরেজমিনে গিয়ে এলাকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দম্পতি হত্যাকান্ডের ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কেউ রাজি হয়নি। 
সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল বলেন, পূর্বের শক্রতার জের ধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটতে পারে।  তবে ঘটনার  প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছেন। ঘটনার সময় দুষ্কৃতিকারী ছুরিকাঘাতে আহত খামারের নৈশ প্রহরীকে সামনে রেখে আমরা তদন্ত অব্যাহত রেখেছি। আশা করছি ২/১ দিনের মধ্যে ঘটনার বিষয়ে সবকিছুই স্পষ্ট হবে।
প্রসঙ্গত, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের মধুপুর বালাপাড়ায় গত শনিবার রাতে একটি খামারে নজরুল ইসলাম ও সালমা খাতুন দম্পতিকে গলা কেটে ও কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে দুষ্কৃতিকারীরা। নিহত দম্পতি ছিলেন সৈয়দপুর শহরের বাঙ্গালীপুর নিজপাড়ার বাসিন্দা। ছেলের গড়ে তোলা গবাদি-পশু খামার দেখভালের করতে গিয়ে হত্যাকান্ডের শিকার হন তারা।
রবিবার রাতে সৈয়দপুর শহরের দারুল উলুম মাদ্রাসা মাঠে নিহত দম্পতির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাদের শহরের হাতিখানা কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সরেজমিনে নিহতের  সৈয়দপুর শহরের বাঙ্গালীপুর নিজপাড়ার বাসায় গিয়ে দেখা যায় পরিবারের সদস্যরা সকলেই শোকে মুহ্যমান। তারা এখনও অনুমান  করতে পারছেন না কে, কি কারণে সহজ, সরল মানুষ দুইটিকে এমন নৃংশসভাবে হত্যা করল ?

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2590682937701334771

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item