কারা হচ্ছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ?

বিশেষ প্রতিনিধি॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের ফলাফলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রী পরিষদ গঠন শপথ ও দায়িত্ব গ্রহন শেষ হয়েছে। এবার শুরু হয়েছে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যে নতুন মুখের কারা আসছেন এ নিয়ে চুল চেরা বিশ্লেষন।

অনেকের ধারনা একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনেই সংরতি নারী আসনের সংসদ সদস্যদের বিষয়টি চুড়ান্ত হতে পারে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের যোগ্য ও ত্যাগী নেত্রীদের তালিকা তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, এবারের সংরতি আসনে ব্যাপক রদবদল হতে পারে। এতে জেলা কোটা সমন্বয় হবে। যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেয়া হবে। যারা দলের দুর্দিনে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, বিভিন্ন কাজে অবদান রেখেছেন, দলের ও দলের সহযোগী সংগঠনে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন- এমন নেত্রীদের মনোনয়ন দেয়া হবে। সেই হিসেবে দলের জন্য নিবেদিত কর্মীদের বিশেষ করে মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ নেত্রীদের মধ্য থেকে নাম সংগ্রহ করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, ব্যাপক পরিবর্তন আসতে পারে সংরতি আসনে। এ কারণে দশম সংসদে সংরতি আসনে থাকা অধিকাংশই এবার বাদ পড়তে পারেন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারী সংসদ সদস্য ছিলেন এমন একজন বলেন, সাধারণত দেখা গেছে দুবারের বেশি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য থাকতে পারেনি। সেক্ষেত্রে দশম জাতীয় সংসদে যারা দুবার সংসদ সদস্য ছিলেন তারা এবার বাদ পড়তে পারেন।
সূত্র জানায়, সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হতে এরইমধ্যে গণভবনে জোর লবিং শুরু করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও কয়েকটি সহযোগী সংগঠনের নারী নেত্রীরা। এ জন্য তারা দলীয় প্রধান ছাড়াও দলের শীর্ষ-নেতাদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সংসদ, গণমাধ্যম বিশেষ করে টক-শোতে জোরালো অবস্থান রয়েছেন- এমন কয়েকজন নারী সংসদ সদস্য পুনরায় থাকছেন। তাদের মধ্যে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, মাহজাবিন খালেদ, সাবিনা আক্তার তুহিন, অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পি, নূর জাহান বেগম মুক্তা অন্যতম।

নতুনদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন- আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্য উপ কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনি, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিরীন রোখসানা, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক এবং যুবমহিলা লীগের সহ-শিক্ষা, পাঠাগার ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ফার্মাসিস্ট নীলফামারীর মেয়ে সরকার ফারহানা আক্তার সুমি. বরিশালের জেবুন্নেছা আফরোজ, ময়মনসিংহের মনিরা সুলতানা, গোপালগঞ্জের আরিফা আকতার রুমা ও শেখ মিলি, মৌলভীবাজারের সায়রা মহসিন, কুষ্টিয়ার সুলতানা তরুণ, চট্টগ্রামের চেমন আরা তৈয়ব এবং ঢাকার আসমা জরিন ঝুমু। এ ছাড়াও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী, অরুণা বিশ্বাস, নাট্যাঅভিনেত্রী শমী কায়সার ও রোকেয়া, প্রাচীর ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের নেত্রী আয়েশা সিদ্দিকা তুলি, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য আঞ্জুমান আরা বন্যার নামও শোনা যাচ্ছে। আলোচনায় রয়েছে ময়মনসিংহ জেলায় গফরগাঁও উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেশমা আক্তারের নামও। এ ছাড়া আলোচনায় রয়েছেন ভালুকা উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরা সুলতানা, গৌরীপুর উপজেলার নাজনীন বেবী। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক(কল্যাণ ও পুর্নবাসন) ও বাংলাদেশ যুবমহিলা লীগের সহ-শিক্ষা, পাঠাগার ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ফার্মাসিস্ট নীলফামারীর মেয়ে সরকার ফারহানা আক্তার সুমি নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের একটি জনপ্রিয় নাম। তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদন করেছিলেন। এবার তাকে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য করা হতে পারেও বলে অনেকে মনে করছে।

পুরোনো সংবাদ

নির্বাচিত 3990597660390079607

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item