তেঁতুলিয়ায় হাতুড়ে ডাক্তারদের জমজমাট ব্যবসা

মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম,তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড় জেলাধীন তেঁতুলিয়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম-হঞ্জের হাট বাজারগুলোতে লাইসেন্সবিহীন ওষুধ ব্যবসায়ী ও হাতুড়ে ডাক্তারদের ব্যবসা এখন জমজমাট ভাবে চলছে। ভুল চিকিৎসার জন্য নানাভাবে ভুগছে গ্রামের সাধারণ মানুষ। উপজেলার অধিকাংশ মানুষ হাতুড়ে ডাক্তারদেও চিকিৎসার উপর নির্ভরশীল। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের হাট বাজারগুরোতে রিক্সা, ভ্যান, মাইক্রোবাস যোগে মাইকে প্রচার করে হাতুড়ে ডাক্তাররা তাদের ব্যবসা রমরমা ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে- পেটের ব্যথা, সর্দি জ্বর, গ্যাসটিক, আলসার, ক্যান্সার, মেহ, প্রমোহসহ বিভিন্ন প্রকারের যৌন রোগ থেকে শুরু করে সব ধরণের নতুন-পুরাতন চিকিৎসার পাশাপাশি এসব ডাক্তাররা অপারেশনের ঝুঁকি নিয়ে থাকেন। রাস্তার পাশে হাট বাজারে প্রবেশের মুখে স্কুল কলেজের দেওয়ালে দেওয়ালে চমৎকার চমৎকার পোষ্টার সেটে এরা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকেন। লিফলেট,পোষ্টার এবং কাগজের বিজ্ঞাপন দিয়েও অনেকে ডাক্তারী করে থাকেন।
উপজেলার পাগলি ডাঙ্গি বাজার, সিপাইপাড়া বাজার, তিরনইহাট বাজার, রনচন্ডি বাজার, তেঁতুলিয়া চৌরাস্ত বাজার, বুচাগজ, শালবাহান বাজার, শালবাহান রোড, বুড়াবুড়ি বাজার, শিলাইকুঠি বাজার, হারাদিঘী নিউমার্কেট, সংগঠন, ভজনপুর বাজার, চৌরাস্তা বাজারগুলোতে হাতুড়ে ডাক্তাররা তাদের ওষুধ বিক্রি করছে দেদারচ্ছে। এসব ডাক্তারদের কোন বৈধ সার্টিফিকেট বা কোন ড্রাগ লাইসেন্স পর্যন্ত নেই। তবুও তারা ঢাক ঢোল পিটিয়ে ওষুধ বিক্রি করে যাচ্ছেন। ডাক্তারদের নামের শেষে চিকিৎসা শাস্ত্রের বড় বড় ডিগ্রিজুড়ে দিয়ে সাইনবোর্ড টানিয়ে ডাক্তারী ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক ডাক্তারের বিরুদ্ধে ভুয়া সার্টিফিকেট সংগ্রহের অভিযোগ করেছে। আবার কেউ কেউ অল্প সময়ে কোন ডাক্তারের কম্পাউন্ডার বা ওষুধের দোকানের সেলম্যান হিসেবে কাজ করে থাকেন। তারা পরবর্তীতে ডেনটিষ্ট সার্জন কিংবা বিশেষজ্ঞদের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
হাতুড়ে এসব ডাক্তার রোগীদের আস্থা অর্জনের জন্য অল্প সময়ে বেশি মাত্রার ওষুধ দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে এন্টিবায়োটিকের প্রয়োগ চলছে ব্যাপক হারে। এতে করে কিছু রোগী রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করলেও পরবর্তীতে পার্শ¦ প্রতিক্রিয়ায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সাময়িকভাবে আরোগ্য লাভকারী এসব রোগী পুনরায় আক্রান্ত হলে তার শরীরে আর এ্যান্টিবায়োটিকে কাজ হয় না। এছাড়াও কিছু কিছু এলাকার হাট বাজারগুলোতে মেয়াদউত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির হার বেড়ে গেছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ডাক্তারদের বিষয়ে কোন তদারকি না থাকায় তারা চুটিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। একাবাসীর অভিযোগ এসব ডাক্তারদের নিকট খুব কম রোগী এবং কম ওষুধ বিক্রি হওয়ায় তাদের দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ জমা থাকে।
এসব ওষুধ খেয়ে এলাকার গরিব, অসহায় মানুষ নানা রোগে ব্যধিত আক্রান্ত হওয়ায় অনেকে অকালে মৃত্যু বরণও করে থাকে।

পুরোনো সংবাদ

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা 2608790116804458867

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item