তেঁতুলিয়ায় পাথর ভাঙ্গা মেশিনের যত্রতত্র ধুলা শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে

মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম,তেতুলিয়া, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ দেশের সর্ব-উত্তরের সীমান্ত ঘেষা পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় শ্রমিকের বড় একটি অংশ পাথর ভাঙ্গার কাজের সাথে জড়িত। কিন্তু স্বাস্থ্য সম্পর্কে মালিক ও শ্রমিক কেউই সচেতন না থাকায় ধুলোবাহিত সিলিকোসিস সহ ভয়াবহ রোগ ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে হাজারো শ্রমিক ও সাধারন মানুষ। নাক দিয়ে শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরের ভিতরে ধুলোবালি ঢুকে পড়ায় নানা রোগ বালাই নিয়ে প্রতিনিয়ত ডাক্তারের শরনাপর্ণ হতে হচ্ছে তাদের। এক্ষেত্রে পাথর ভাঙ্গা মেশিনে কাজ করার সময় মুখে মাকস ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। জেলার খনিজ সম্পদ পাথর শিল্পের সঙ্গে প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে তেঁতুলিয়া উপজেলার দেড় লাখেরও বেশি মানুষ। এমন অনেকেই আছেন যাদের জীবিকার পুরোটাই পাথরের উপর নির্ভশীল । কিন্তু পাথর উত্তোলন ও পাথর ভাঙ্গার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ ও পরিকল্পনা না থাকায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে পাথর শ্রমিকের বিরাট অংশ। যাদের অধিকাংশই নারী শ্রমিক। জেলার সমতল ভূমি খনন করে ভূ-গর্ত ও নদী থেকে পাথর উত্তোলন করা হয়। আবার ভারত থেকেও পাথর আমদানি করা হয়। এসব পাথর ভাঙ্গার কাজে যুক্ত রয়েছেন প্রায় লক্ষাধিক দরিদ্র শ্রমিক। মেশিনের মাধ্যমে পাথর ভাঙ্গার সময় ভাঙ্গা পাথরের গুড়ো ও ধুলোবালি নির্গত হয়ে চারপাশে ছেয়ে যায়  এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় সাধারন মানুষ ও শ্রমিক। আর এসব ধুলোবালির মধ্যেই কাজ করতে হয় শ্রমিকদের । সারাদিন কাজ করার পর রাতে মাথা ব্যাথা , সর্দি, শ্বাস কষ্ট, কাশি, ক্ষুদাহীনতা ও নিদ্রাহীনতায় ভোগেন অনেক শ্রমিকরা। বুড়াবুড়ি এলাকার নারী শ্রমিক আক্তারা বানু বলেন, পাথর ভাঙ্গার মেশিনে কাজ করে বাড়ি ফিরে রাতে ঠিক মত ঘুমাতে পাড়েন না। কাশি ও শ্বাস কষ্টের কারণে। তিনি আরও বলেন, যে এই সমস্যার জন্য ডাক্তার দেখায় ওষুধ খাই কিন্তু রোগ ভালো হয় না। ভাঙ্গি পাড়া এলাকার নারী শ্রমিক মরিয়ম বেগম জানান, এই সব কাজ করে ক্ষুদা লাগে না। আমরা গরিব মানুষ এই কাজ করলে ভালো অংকের টাকা পাওয়া যায় তাই কষ্ট হলেও কিছু করার নেই। তেঁতুলিয়া উপজেলা কমপ্লেক্স হাসপাতাল মেডিকেল অফিসার জানান, ইদানিং প্রচুর শ্রমিক ধুলোবালি বাহিত রোগ বালাই নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হচ্ছেন। পাথর ভাঙ্গা মেশিন থেকে নির্গত হওয়া ধুলোবালি স্বাস্থের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। শ্রমিকের অনেকেই দীর্ঘ দিন কাজ করার পর শ্বাসকষ্ট ,সর্দি-জ্বর সহ জটিল রোগে আক্রান্ত হলেও মাালিক পক্ষ থেকে কোন সচেতনমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলে জানান শ্রমিকরা।

পুরোনো সংবাদ

পঞ্চগড় 845079902124222579

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item