সৈয়দপুরে পুলিশের অভিযানে ১১টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার ॥ চোর দলের ৯ সদস্য গ্রেফতার


তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
সৈয়দপুরে বিভিন্ন ব্রান্ডের ১১টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় আন্তঃজেলা চোরাই মোটরসাইকেল চোর, ক্রেতা-বিক্রেতাসহ ওই চক্রের নয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।আজ বুধবার ভোর ও এর আগে দিন  গত মঙ্গলবার  সৈয়দপুর-রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার ও সাবেক দুই সেনা সদস্যসহ ওই চক্রের নয় জনকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দের আগে  সৈয়দপুর থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গ্রেফতার ও মোটরসাইকেল উদ্ধারের এসব তথ্য জানানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো গাইবান্ধা জেলার দুলারভিটা মালিবাড়ি এলাকার মৃত.দুলা মিয়ার ছেলে আবুল কালাম (৪০),বগুড়া জেলার শাহাজাহানপুর উপজেলার মালিপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে জাহেদুল ইসলাম(৩২), গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার খামার দসুলিয়া গ্রামের হাফিজার রহমানের ছেলে নুর আলম(৩৫),রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার বালারহাট মাস্টারপাড়া গ্রামের মৃত. আবুলের ছেলে মোহাম্মদ আলী (৩৬), কুড়িগ্রাম জেলার গফরী এলাকার জগৎ কুমারের ছেলে রূপম কুমার (২৯), দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার ডহুরা এলাকার মৃত. এহসান আলীর  ছেলে রুহুল আমিন(৪২)ও বিষ্ণু রায়ের ছেলে শান্ত রায় (৩০),সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের বাগডোকরা এলাকার মৃত. আ. রহমানের  ছেলে আজাহার আলী (৪৫) ও মৃত. হাসান উদ্দিনের ছেলে রেজাউল করিম (৩৫)।
পুলিশ জানায়, গত ২৯ মার্চ  সৈয়দপুর শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কের (দিনাজপুর রোড) পপুলার ক্লিনিকের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি যায়। চুরি সঙ্গে জড়িত দুই চোরের ছবি ওই ক্লিনিকের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে ধরা পড়ে। গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই দুই চোর আবারও একই এলাকায় গেলে লোকজনের সহায়তায় আবুল কালাম ও জাহেদুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে তাদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদে তারা মোটরসাইকেল চোরাই দলের সদস্য ও চোরাই মোটরসাইকেলের ক্রেতা -বিক্রেতার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য দেয় পুলিশকে। তাদের তথ্যানুযায়ী সৈয়দপুর সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার(এএসসি) মো. জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে থানার অফিসার ইনচার্জ আমিরুল ইসলাম, মো. তাজউদ্দিন আহমেদ (তদন্ত), উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আজিজ,অলোকান্ত রায়, সহকারি উপ-পরিদর্শক(এএসআই) বদরুদ্দোজাসহ সঙ্গীয় ফোর্স সৈয়দপুর ছাড়াও রংপুর ও দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়।
 গত মঙ্গলবার থেকে  বুধবার সকাল পর্যন্ত একটানা ওই অভিযানে সৈয়দপুর থেকে নয়টি ও রংপুর শহরের জাহাজ কোম্পানী মোড় থেকে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে মোটরসাইকেল ক্রেতা সেনাবাহিনীর চাকুরিচ্যুত সদস্য নুর আলমকে ওয়াকিটকিসহ ও বিক্রেতা সৈয়দপুর শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কের  মামা এন্টারপ্রাইজের মালিক সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য আজাহার আলীসহ ৯ জনকে বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আজাহার আলীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মামা এন্টারপ্রাইজ থেকে বিভিন্ন ব্রান্ডের৭টি মোটরসাইকেল,শহরের নিয়ামতপুর এলাকার সুমনা ফিলিং স্টেশন এলাকা ও নতুন বাবুপাড়া এলাকার পৌর পাঠাগারের সামনে থেকে বেচাকেনার সময় অপর দুটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।
 গ্রেফতারকৃতরা মোটরসাইকেল চুরির সত্যতা স্বীকার করে জানায়, তারা এসব মোটরসাইকেল রিকন্ডিশন মোটরসাইকেল বিক্রেতা মামা এন্টারপ্রাইজে বিক্রি করতো।
 এদিকে, চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার ও গ্রেফতারকৃতদের বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের অভিযান সম্পর্কে অবগত করতে গতকাল বুধবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিং করে থানা পুলিশ। এতে ব্রিফিং দেন নীলফামারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার মো. আতিকুর রহমান। এ সময় থানার অফিসার ইনচার্জসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। গ্রেফতারকৃতদের  নীলফামারী জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে ।   

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 101100440259310166

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item