কিশোরগঞ্জে আগন্তুক তরুনীকে গনধর্ষন
https://www.obolokon24.com/2017/04/kisargang_5.html
গণধর্ষনের স্বীকার তরুনী জানায় সে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার বলদীপাড়া গ্রামের মেয়ে। সে ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত শিশু পল্লীতে থাকাকালিক তার সঙ্গে পরিচয় হয় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদখানা দিঘিরপাড় গ্রামের আমজাদ হোসেন (৬৫) ও তার দুই মেয়ে লাভলী ও মিনার সঙ্গে। সেই সুবাদে সে গত তিন মাস আগে এখানে একবার বেড়াতে এসে সপ্তাহখানীক থেকে ফিরে যায়। চলে যাওয়ার সময় ভুল করে সে তার কিছু জামা কাপড় এখানে রেখে যায়। ওই জামা কাপড় নিতে সে মঙ্গলবার সকালে তাদের বাড়িতে একাই আসে। তার রেখে যাওয়া জামা কাপড় নিয়ে ওই দিন বিকালে রংপুরে তার আতœীয়র বাড়িতে চলে যাচ্ছিল। পথে তাকে দুইজন আটকিয়ে এলাকার একটি লিচু বাগানে জোড়পূর্বক নিয়ে মুখ হাত পা বেঁধে আটকি রাখে এবং রাতে ওই দুইজন তাকে একাধিকার ধর্ষন করে। ধর্ষনের পর কালা চৌকিদার পালিয়ে যায়। অপরজন রশিদুল ইসলাম তাকে তার বাড়িতে নিয়ে রাতে রাখে। সেখানে তার শারিরিক অবস্থা খারাপ হলে বুধবার সকাল সাড়ে আটটায় রশিদুল তাকে একটি ভ্যানে কিশোরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়ে সে পালিয়ে যায়।
রশিদুল ইসলামের বাবা নুরুল আমিন জানান একটি মেয়ে বিপদে পড়েছে বলে তাকে রাতে বাড়িতে নিয়ে আসে তার ছেলে রশিদুল ইসলাম। কিন্তু মেয়েটির শারীরিকভাবে অসুস্থ্য থাকায় তার ছেলে সকালে মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বাড়ি ফিরে আসেনি।
চাঁদখানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান জানান সকাল থেকে তার ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আজিজুল ইসলাম কালা ইউনিয়ন পরিষদে এসে হাজিরা দেয়নি। এমনকি তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ গাওছুল আযম জানান মেয়েটির চিকিৎসা করতে গিয়ে গনধর্ষনের আলামত পাওয়া যাওয়ায় তাৎক্ষনিকভাবে থানা পুলিশকে অবগত করা হয়।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মফিজুল ইসলাম জানান খবর পেয়ে পুলিশ ফোর্স সহ হাসপাতালে গিয়ে মেয়েটির কথা শুনে তাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়, চাঁদখানা ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আজিজুল ইসলাম কালা ও একই এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে রশিদুল ইসলাম মেয়েটিকে গনধর্ষন করেছে। এ ঘটনার পর ওই দুইজন পালিয়ে গেছে। মেয়েটির উন্নত চিকিৎসার জন্য নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। পাশাপাশি আসামী দুইজনকে গ্রেফতারের চেস্টা করা হচ্ছে।#
