ঐতিহ্যবাহী কর্ণেটের সুর হারিয়ে যাচ্ছে ডোমারের হরিদাসের জীবন থেকে

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারী ডোমারে ঐতিহ্যবাহী এক সময়ের যাত্রা, সার্কাসে ও নাটকে কর্ণেট ও ফুর্ণেট বাঁশীর সুরে মুখোরিত করেছিল সাংস্কৃতিক অংঙ্গনকে, সেই হরিদাস বর্ম্মনের বাঁশি আজ বিলুপ্তির পথে। কালের আবর্তে তথা অত্যাধুনিক বিজ্ঞানের যুগে যান্ত্রিক প্রসারে মান্ধাত্বার আমলের সনাতন পদ্ধতির ঐতিহ্যবাহী সুর ও গান হারিয়ে যেতে বসেছে। ফলে এ শিল্পের সাথে জড়িত অনেক শিল্পী ও বাদ্যকার পৈত্রিক পেশা ছেড়ে বর্তমানে অন্য পেশায় যেতে বাধ্য হচ্ছে অথবা বাধ্যক্ষ্য জনিত কারনে সংসারের বোঝা মাথায় নিয়ে ধুকে ধুকে মৃত্যুর মুখে ধাবিত হচ্ছে। অশ্রুভেজা কন্ঠে এমনি কথা গুলো বললেন, ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব বোড়াগাড়ী হলদিয়া বন এলাকার মৃত বুধারু রাম বর্ম্মনের কনিষ্ট পুত্র  বিশিস্ট কর্ণেট ও ফুর্ণেট বাজানো শিল্পী শ্রী হরিদাস বর্ম্মন(৫৭)।  ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, দেবীগঞ্জ উপজেলা সহ দেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যার বাঁশির সুরে মানুষ পাগল হতো।  বিজ্ঞান প্রযুক্তির উৎকর্যতা সাধনের ফলে এখনকার অনুষ্ঠানে সাউন্ড সিস্টেম, সাউন্ডবক্্র  ব্যাবহার করায় এই শিল্পের বিশেষ একটা ভূমিকা নেই। যার কারনে এখন কেউ তাকে ডাকে না। তিনি আরো জানান, তার বাবা পাকিস্তান আমল থেকে যাত্রা পালার কাজ করতো।১৯৭১সাল থেকে বাবার নির্দেশে জলঢাকার বিশিষ্ট বাদ্যকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ওস্তাদ শ্রীবাসের কাজ থেকে এ শিক্ষা নিয়েছে। ওস্তাদের মৃত্যুর পরথেকে তার কদর বেড়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে কাজ না থাকায় স্ত্রী, সন্তান, নাতী নাতনী সহ পরিবারের ৮জন সদস্য নিয়ে বেকারত্ব অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে।বর্তমান আধুনিকতার ছোবলে বিলুপ্তির পথে এ বাঁশি ইতিহাস ঐতিহ্যের সাক্ষি হয়ে একদিন এ বাঁশী যাদুঘরে ঠাই পাবে। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তা গল্প হয়ে থাকবে। বাস্তবে চোখে দেখার সুযোগ পাবে না তারা। তাই এ শিল্পকে বাচাঁতে- ০১৭২৮-৬৫৫০৩২ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করেন তিনি এবং সরকারী বা বিভিন্ন বে-সরকারী সংস্থাকে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন মহল।

পুরোনো সংবাদ

শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি 7726854791656576287

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item