দিনাজপুরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ভূমিদস্যুদের রোষানলে সুবিচারের আশায় সকলের দ্বারস্থ

মোঃ আব্দুস সাত্তার, দিনাজপুর প্রতিনিধি ঃ দিনাজপুর শহরের পুরহাট মাঝিপাড়া এলাকার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান পরিবারের সম্পত্তি ভূমিদস্যুরা জবর দখল করায় সু-বিচারের আশায় সকলের দ্বারে দ্বারে বেড়াচ্ছে।

শহরের পুলহাট মাঝিপাড়া এলাকায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মানের পুত্র বাবুল হোসেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগে বলেন, আমার পিতা সোলায়মান একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। গত ১৯৭১ ইং সালে ২৫ শে মার্চ কালরাত্রে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙ্গালীর উপর আক্রমণ করে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহান স্বাধীনতার ঘোষণার ডাকে সাড়া দিয়ে আমার পিতা মোঃ সোলায়মান পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযুদ্ধ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে ১৯৭১ সালের ২৮ শে মার্চ শহীদ হন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন পুত্র ও দুই কন্যা রেখে যান। আমার পিতার উল্লেখিত ওয়ারিশগণের মধ্যে আমার মাতা ২০১১ সালে মৃত্যুবরণ করেন। আমার বড় ভাই আব্দুল মান্নান ১৯৯১ সাল থেকে অদ্যাবধি নিখোঁজ রয়েছে। আমার মেজো ভাই আসলাম পারভেজ গত এক বছর পূর্বে দুর্ঘটনাজনিত কারণে পঙ্গু অবস্থায় আমার সংসারে রয়েছে। আমার দুই বোন মানসিক প্রতিবন্ধী। আমি আমার বাবার তৃতীয় পুত্র। আমার পিতা মুক্তিযুদ্ধে ৬৭০ নং শহীদ হন। ১৯৭১ সালে ২৮ শে মার্চ আমার পিতা সোলায়মান শহীদ হওয়ায় আমরা অভিভাবকহীন হয়ে পড়ি। এই সুযোগ গ্রহণ করে কতিপয় ভূমিদস্যুরা। তারা সু-কৌশলে আমাদের নামীয় সম্পত্তিতে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের মাধ্যমে পুলহাট প্রাইমারী বিদ্যালয় সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে আমরা জানতে পেরে আমাদের জমি স্কুলের ভিতরে রয়েছে। যার মৌজা-মাঝিপাড়া, জেএলনং-১০৫, সি,এস খতিয়ান-১৪৮, দাগ-১২৫, পরিমাণ-০.৩৮ একর এর মূল মালিক আমার মাতা ফসিয়ন বেওয়া। বর্তমানে ৩৮ শতকের  মধ্যে ১৫ শতক আমাদের বসতবাড়ী। বাকী ১৮ শতক জমি স্কুলের ভিতরে রয়েছে। স্কুলের ভিতরে আমাদের ১৮ শতক জমি উদ্ধার করার জন্য গত ১৮/১২/২০১৬ ইং তারিখে পুলিশ সুপার, দিনাজপুর বরাবরে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এতে কোন সুরাহা হয়নি। এরপর তিনি সহ তার ভাই আসলাম পারভেজ (পঙ্গু), তার দুই প্রতিবন্ধী বোন মোছাঃ চান্দা বেগম ও মোছাঃ মুন্নিয়ারা সকলে মিলে বাদী হয়ে খোদেজা ওরফে কাদুরন নেছা, শ্রী চান্দু কুমার রায়, মতিয়ার রহমান, জাফর আলী মুন্সী, মনসুর আলী মাষ্টার ও প্রধান শিক্ষক পুলহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে বিবাদী করে গত ২০/০১/২০১৭ ইং তারিখের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালত (১) দিনাজপুর-এ ৩০/২০১৭ নং মোকদ্দমা আনয়ন করেন। যার ধার্য্য তারিখ ০৬/০৪/২০১৭ ইং। এ সমস্যা নিরসনের জন্য উপজেলা ভূমি অফিসে একটি অভিযোগ করেন। গত ১২/০২/২০১৭ ইং তারিখে বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে উভয়পক্ষের শুনানী গ্রহণ করা হলেও অদ্যাবধি সমাধান হয়নি। পরবর্তীতে গত ১৩/০৩/২০১৭ ইং তারিখে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি নিজে বাদী হয়ে চান্দু কুমার রায় (৫৫), মতিয়ার রহমান (৫২), জাফর আলী মুন্সী (৬০), খোদেজা ওরফে কাদুরন (৫৭), মনসুর আলী মাষ্টার (৫১), জবেদ আলী (৫২), জুয়েল হোসেন (৪৭), লাবলু হোসেন (৩০) ও খতিব উদ্দীন (৪৫) গণকে প্রতিপক্ষ করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত সকল অঞ্চল, দিনাজপুরে ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে ফৌঃকাঃবিঃ আইনের ১৪৪ ধারা মতে একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট সু-বিচারের আশায় সকলের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।

পুরোনো সংবাদ

দিনাজপুর 5226473030320121120

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item