নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড॥ ৪৫৭ দশমিক ২৬ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি
https://www.obolokon24.com/2017/03/nilphamari_30.html
চাঙ্গা হয়ে উঠছে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড। এই ইপিজেডে মোট বিনিয়গের পরিমান ১৩০ দশমিক ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত উত্তরা ইপিজেডের কারখানা সমূহ হতে রপ্তানী হয়েছে ৪৫৭ দশমিক ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমমূল্যের পণ্য। এখানে কর্মসংস্থান হয়েছেন ২২ হাজান অধিক বাংলাদেশের নাগরিকের।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন উত্তরা ইপিজেডে বহুমুখী পণ্য উৎপাদনে অন্যান্য ইপিজেডের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এদিকে আবার এরই মধ্যে ১০ ফ্যাক্টরিতে ২০ মিলিয়নেরও বেশি ডলার বিনিয়োগ করেছেন দেশী-বিদেশী শিল্প উদ্যোক্তারা। ১২টি কারখানা চালু রয়েছে এবং ১০ কারখানা বাস্তবায়নাধীন।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhgOATBi8KlH2pFaE78Pox8CVt-yNm6aC4gC74-uXCN-Vri_bIiPgboX3CU4MqwoyXNnDSdbo0JxSK3N0LnH2_4P2fCp6ymhUHK4AP_gj3VBab_S3vokJxkj2CHfWcCdKa_kbXoVDHACylJ/s1600/3.jpg)
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে উত্তরা ইপিজেড স্থাপন করে। ২০০১ সালে পহেলা জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এই ইপিজেডের উদ্বোধন করেছিলেন। শুরুতে এ ইপিজেডে হংকংভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানে চীনারা অর্থ বিনিয়োগ করে। উত্তরা সোয়েটার ম্যানুফ্যাকচারিং-এ চীনাদের তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশের শ্রমিকরা উন্নতমানের সোয়েটার উৎপাদন করছে। পাশাপাশি একইভাবে এখানে পরচুলা তৈরি করছে অপর চীনা কো¤পানি।
এই ইপিজেডে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, ইউপিজেড থেকে ৩৮ কিলোমিটার অদূরে ভারতের হলিবাড়ির সঙ্গে চিলাহাটি স্থলবন্দর চালু এবং সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপন ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক করা হলে উত্তরা ইপিজেডে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে শিল্প উদ্যোক্তারা মনে করছেন।বর্তমানে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে হংকংভিত্তিক এভারগ্রিন প্রডাক্ট ৮টি প্ল¬ট বরাদ্দ নিয়ে
উৎপাদন করছে পরচুলা। এখানে বাঁশের তৈরীর কফিন তৈরী হচ্ছে । যা রফতানি করা হচ্ছে ইউরোপের বাজারে। ওয়েসিস কফিনস নামে একটি প্রতিষ্ঠান এসব তৈরি করছে। ২০১০ সালে ডেভিড হাউ ওয়েসিস কফিনস নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। স্থানীয়ভাবে বাঁশ, বেতসহ আরো সহজলভ্য সব উপাদান দিয়ে তিনি কফিন তৈরি করে তা ইউরোপের বাজারে বিক্রি করেন। কফিন তৈরির কারণে বিশেষ ধরনের বাঁশ ও বেতের চাহিদাও বেড়ে চলেছে। ফলে বাঁশবাগানের মালিকরাও লাভবান হচ্ছেন।
বেপজা সুত্রমতে, উত্তরা ইপিজেডে বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। এখানে উদ্যোক্তাদের জন্য শিল্প প্ল¬ট ও কারখানা ভবনের ভাড়া ৫০ ভাগ হ্রাস করা হয়েছে।নীলফামারীর সোনারায় ইউনিয়নের ২১৩ দশমিক ৬৬ একর জায়গায় স্থাপিত উত্তরা ইপিজেডে শিল্প প্লটের সংখ্যা ২০২টি। এর সব প্লট উপযুক্ত হয়ে আছে এবং ইতোমধ্যে ১১৮টি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৯টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে। উৎপাদনে থাকা ১০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চারটি কারখানার তিনটিই তৈরি পোশাকের। ইপিজেড থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের এবং ৩৮ কিলোমিটার দূরের চিলাহাটিকে স্থলবন্দরে রূপ দিলে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে।
উত্তরা ইপিজেডের জেনারেল ম্যানেজার তানভীর সিদ্দিক জানান এটি একটি সম্ভাবনাময় এক্সপোর্ট জোন। এই ইপিজেডে মোট বিনিয়গের পরিমান ১৩০ দশমিক ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে উত্তরা ইপিজেডের কারখানা সমূহ হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত রপ্তানী হয়েছে ৪৫৭ দশমিক ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমমূল্যের পণ্য। এখানে কর্মসংস্থান হয়েছেন ২২ হাজারের অধিক বাংলাদেশের নাগরিক। উত্তরা ইপিজেডে বহুমুখী পণ্য উৎপাদনে অন্যান্য ইপিজেডের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এখানে চশমা ও চশমার ফ্রেম, উইগ,খেলনা, বাঁশের তৈরী কফিন, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য,ব্যাগ,বেণ্ট প্রভৃতি পণ্য তৈরী হয়। #