কিশোরগঞ্জে অধিকাংশ বিদ্যালয়ে নেই বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য সম্মত শৌচাগার

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই  স্বাস্থ্য সম্মত শৌচাগার ও বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যাবস্থা । আর যে সব প্রতিষ্টানে রয়েছে তাও ব্যবহারের অনুপযোগী।
উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, ওই উপজেলায় ৩৮ টি মাধ্রমিক বিদ্যালয়, ২৭ টি মাদ্রাসা, ১৬৯ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,৭ টি উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্টান রয়েছে। এছাড়াও কেজি স্কুল রয়েছে ২৪ টি। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশির ভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর মধ্যে স্বাস্থ্য স¤œত শৌচাগার ও বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা নেই। উপজেলার অধিকাংশ বিদ্যালয়ে ফিল্টার টিউবয়েলের ব্যবস্থা নেই। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সাধারন টিউবয়েল থেকে পানি পান করছে। এসব পানিতে আর্সেনিক রয়েছে কিনা সে বিষয়ে কতৃপক্ষ নিশ্চিত নন।উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকেীশলীর কার্যালয়ে গিয়ে প্রকেীশলী আব্দুল গফুর তালুকদারকে না  পেয়ে তার অফিসের মেকানিকাল  মিজানুর রহমান জানান, কোথায় কোথায় টিউবয়েলে আর্সেনিক আছে তা আমাদের জানা নেই। আপনি বেসরকারী সংস্থা আর ডি আর এস এ গিয়ে যোগাযোগ করেন।
  বেসরকারী সংস্থা আর ডি আর এস অফিসের হিসাব রক্ষন অফিসার শাহজাহান আলী বলেন,  ২০১৪ সালে ওয়াটার এইড আরডিআর এস মাধ্যমে স্কুলগুলোর টিউবয়েলে আর্সেনিক পরীক্ষা করে কিছু কিছু টিউবয়েলের মুখে  আর্সেনিক পেয়ে  সেগুলোতে লাল রং দিয়েছিল।  সেগুলো বর্তমানে নেই। এর বেশি আমি আর কিছু জানিনা বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান।
 কিশোরগঞ্জের স্বনামধন্য উচ্চ বিদ্যালয় কিশোরীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে বিপুল সংখ্যাক শিক্ষার্থীর জন্য ফিল্টার টিউবয়েল নেই।  বিদ্যালয়ের শৌচাগারের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোলাম আজম বলেন, বিদ্যালয়ে যে টিউবয়েলগুলো আছে সেগুলোর  গভীরতা প্রায় ৩৫ ফিট। আর্সেনিক আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিদ্যালয়ে কোনদিন আর্সেনিক পরীক্ষা করা হয়নি। শৌচাগার বিষয়ে বলেন, পশ্চিমেরটি ব্যবহার করা হয়না। বিল্ডিংয়ের ভিতরেরটি প্রতি শুক্রবার পরিস্কার করা হয়।
ভেড়ভেড়ী ঘোনপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার স্কুলে পানিতে প্রচুর আয়রন পানিতে আর্সেনিক আছেকিনা তা জানিনা তারপরও বাচ্চাদের নিয়ে ভয় হয়।
শরীফাবাদ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজার রহমান  বলেন, আমার স্কুলের টিউবয়েলে আয়রনের পরিমান অনেক বেশি আমি বেশ কয়েকবার উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর অফিসে গিয়েছিলাম কিন্তু তার দেখা পাইনি।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আব্দুল গফুর তালুকদারের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান, ওই উপজেলায় ১৬৯ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রায় ১২০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিশুদ্ধ পানি পান করার উপযোগী  টিউবয়েল দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান পাশ্ববর্তী বদরগঞ্জ উপজেলা ও গাইবান্ধা জেলায় কিছু জায়গায় আর্সেনিক পাওয়া গিয়েছিল কিন্তু এই উপজেলায় এখনও কোন খবর মেলেনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) গাউছুল আজম বলেন, এমনিতেই শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। অস্বাস্থ্যকর শৌচাগার ব্যবহার করলে পেটে কৃমি ও আমাশয় সহ বিভিন্ন রোগ হতে পারে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা  তারিকুল ইসলাম বলেন, আমি বিদ্যালয় গুলো পরিদর্শনে গিয়ে বেশির ভাগ বিদ্যালয়ে আয়রনযুক্ত পানি পান করেছি  কিন্তু পানিতে  আর্সেনিক আছে কিনা আমি বলতে পারবনা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।



পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 2457827584334066925

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item