নীলফামারীতে ইপিজেডের নারী শ্রমিক গণধর্ষন
https://www.obolokon24.com/2015/11/nilphamari_12.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ১২ নবেম্বর॥
সংখ্যালঘু পরিবারের এক তরুনী গণধর্ষনের শিকার হয়েছে। ওই তরুনী নীলফামারী উত্তরা ইপিজেডের ভ্যানচুরা ব্যাগ তৈরী শিল্প প্রতিষ্ঠানের নারী শ্রমিক। বুধবার রাত ৯টা দিকে ঘটনাটি ঘটে নীলফামারীর সোনারায় ইউনিয়নের বাবুরহাট নামক স্থানে। গণধর্ষিতা ওই তরুনীকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় রাতেই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই তরুনী নিজে বাদী হয়ে নীলফামারী থানায় মামলা দায়ের করেছে।এ ঘটনায় ধর্ষনকারী অজ্ঞাত তিন যুবককে গ্রেফতারে পুলিশ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছে। এদিকে জেলা নারী ফোরামের সভাপতি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা লাভলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধর্ষিতার সাথে কথা বলে তার আইনী সহায়তা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।
নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তরুনী জানায় সে জেলার জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের আরাজি শিমুলবাড়ি গ্রামের দীনেশ চন্দ্র রায়ের মেয়ে। গত তিন মাস থেকে সে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের ভ্যানচুরা শিল্প প্রতিষ্ঠানে নারী শ্রমিক হিসাবে কর্মরত। এ জন্য সে নীলফামারীর সোনারায় ইউনিয়নের বাবুরহাট এলাকায় বিশ্বস্বর মাষ্টারের বাড়ির একটি রুম ভাড়া নিয়ে থাকতো।
ঘটনার দিন সে অতিরিক্ত সময় কাজ করে ইপিজেড থেকে বাসায় ফিরছিল। সাথে ইপিজেডের এ্যাভারগ্রীন শিল্পকারখানার লাইন লিডার মিলন ছিল। পথে তিনজন বখাটে তাদের পথরোধ করে এবং মিলনকে কিলঘুষি ও ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এরপর ওই তরুনীর মুখ চেয়ে জোড়পূর্বক পার্শ্ববর্তী একটি লিচুবাগানে নিয়ে গিয়ে তিন যুবক ধর্ষনের পর পালিয়ে যায়। সে সময় তার আতœচিকিৎকারে পথচারী দুই ব্যাক্তি এসে তাকে উদ্ধার করে তার বাসার মালিক ডেকে এনে এলাকাবাসী রাতেই হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নীলফামারী থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম জানান আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।