লিখতে না জানলেও তারা সাংবাদিক ভুয়াদের কবলে প্রকৃতরা কুপোকাত

মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি-

সৈয়দপুরে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ভুয়া সাংবাদিকদের সংখ্যা। লিখতে না জানলেও তারা সাংবাদিক। উপজেলার গ্রামসহ শহরে কোন ঘটনা ঘটলেই তারা ছুটে যায় ঘটনাস্থল। তথ্য সংগ্রহসহ আচার আচরণ দেখলেই মনে হয় না তারা নিধিরাম সর্দার।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সৈয়দপুরে এসব সাংবাদিকের সংখ্যা প্রায় ২০/২৫টি মত। এরা জাতীয় দৈনিকসহ স্থানীয় পেপার পত্রিকার পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে স্থানীয় থানা, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এরা সংবাদ লিখতে না জানলেও পেপার পত্রিকায় সংবাদ লিখে সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে আদায় করছেন উৎকোচ। জুয়ার আসর ও মাদকের হাটে এদের অবধা বিচরণ। যেসব পুলিশ সদস্যরা অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বখরা আদায় করেন তাদের কাছেও এসব ভুয়া সাংবাদিকদের প্রচন্ড কদর। হাতে বড় বড় মোবাইল আর মোটর সাইকেলে প্রেস লিখে তারা সেজেছেন বিশাল মাপের সাংবাদিক। মূলত তারা স্থানীয় থানার দালালিতে মৌখিক নিয়োগপ্রাপ্ত। আটক আসামিদের ছাড়ানো আর থানায় ডায়রী করাটা যেন ঠিকায় নিয়েছেন তারা। থানার ওসি অথবা পুলিশ কর্মকর্তারা আসামি ছাড়ার ব্যাপারে জানুক বা নাই জানুক তারা কৌশল প্রয়োগ করে সর্বশান্ত মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের অর্থ।
একটি সূত্র জানায়, জাতীয় ও স্থানীয় বেশ কয়টি পত্রিকায় তারা পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে নীলফামারীর সৈয়দপুর প্রতিনিধি হয়েছেন। তাদের একজনও সংবাদ লিখতে পারেন না। অথচ তারা বিশাল মাপের সাংবাদিক।
সূত্রটি বলছেন, এসব পত্রিকার সম্পাদকরা যদি প্রকৃত সাংবাদিকদের নিয়োগ দিতেন তাহলে একদিকে যেমন পত্রিকার সম্পাদকের নামডাক হতো তেমনই পাঠকরাও পেত তাদের মুখরোচক সংবাদের খোরাক। ভুয়াদের কবল থেকে রা পেত প্রকৃত সাংবাদিকরা।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7748447605417915510

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item