বিলুপ্ত ছিটমহলের ৯৭৯ জন নবেম্বরে চলে যাবে ভারতে বুড়িমারীতে উভয় দেশের ডিসি পর্যায় বৈঠক অনষ্ঠিত
https://www.obolokon24.com/2015/10/sit-mohol_18.html
আবু ফাত্তাহ্ কামাল পাখি,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বিলুপ্ত ছিটমহল থেকে ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণকারী ৯৭৯ জন ব্যক্তি চলতি বছরের নবেম্বরে ভারতে চলে যাবেন। তাদের নিরাপদে ট্রাভেল পাসের মাধ্যমে ভারত গমনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে বাংলাদেশ-ভারতের জেলা প্রশাসক(ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএম) পর্যায়ে প্রাথমিক ভাবে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুড়িমারী স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রে শনিবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ বিষয়ে তিন দিন ব্যাপী চুড়ান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ থেকে ২৯ অক্টোবর একই ভেন্যুতে।
বাংলাদেশের পক্ষে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক(ডিসি) হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে নীলফামারী,পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সহ ১৪ সদস্য ও ভারতের পক্ষে কুচবিহার জেলা শাসক(ডিএম) পি উলগানাথনের নেতৃত্বে ১৭ সদস্য প্রতিনিধি দল এই বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত মতে আগামী পহেলা নবেম্বর থেকে ৩০ নবেম্বরের মধ্যে ৯৭৯ জন ভারতে চলে যেতে পারবেন।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের প্রধান লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান ও ভারতের কুচবিহার জেলা শাসক পি উলগানাথন যৌথভাবে সাংবাদিকদের বলেন,ভারতীয় নাগরিকত্বগ্রহণকারী ৯৭৯ জন ট্রাভেলপাসধারী ১লা নবেম্বর হতে ৩০ নবেম্বরের মধ্যে ভারত চলে যাবেন। তাদের স্থাবর-অস্থাবর স¤পত্তি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই বৈঠকের মাধ্যমে একটি গাইড লাইন প্রস্তুত করা হয়েছে । এছাড়াও তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারটিও ফলপ্রসূ ভাবে আলোচনা হয়েছে। এটির সার্বিক দিক পুনরায় পর্যবেক্ষন করে ট্রাভেল পাসধারীদের ভারত গমন বিষয়ে আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর তিন দিন ব্যাপী ফের জেলা প্রশাসক(ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট(ডিএম) পর্যায়ে চুড়ান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে এসব বিষয় চুড়ান্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত ১৯৭৪ সালের মুজিব-ইন্দিরা স্থর সীমান্ত চুক্তির আলোকে বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের বর্তমান প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফলপ্রসু আলোচনার মাধ্যমে চলতি বছরের ৩১ জলাই মধ্য রাতে উভয় দেশের ১৬২টি ছিটমহল বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়। এতে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে ভারতীয় ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের এবং ভারতের অভ্যান্তরে থাকা ৫১টি ছিটমহল ভারতের মুল ভুখন্ডের সাথে এক হয়ে যায়। এর আগে উভয় দেশের ছিটমহল গুলোতে ৫ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল জনগণনা। ওই জনগণনায় বাংলাদেশের অভ্যান্তরে ১১১টি ছিটমহলের লোক সংখ্যা ৪১ হাজার ৪৪৩ ও ভারতের অভ্যান্তরের ৫১ ছিটমহলের লোক সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার পাওয়া যায়। ওই জনগণনায় ছিমহলবাসীদের দেশ বেছে নেয়ার জন্য একটি সু-নির্দিষ্ট ফরম পুরন করে নেয়া হয়েছিল। সেখানে বাংলাদেশ থেকে ৯৭৯ জন ছিটবাসী তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন করেছিলেন।