প্রশাসনিক ঘুষ বাণিজ্যে সৈয়দপুর মাদকের শহরে পরিণত

মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

প্রশাসনিক ঘুষ বাণিজ্যে সৈয়দপুর মাদকের শহরে পরিণত হয়েছে। উপজেলার ঢেলাপীর আবাসন প্রকল্প বিহারী ক্যাম্প, শহরের রেললাইন এলাকা, ইসলামবাগ, গোলাহাট, নয়াবাজার, বাঁশবাড়ী, বাসটার্মিনাল, বাঙ্গালীপুর নিজপাড়া, নীচা কলোনী, আধুনিক প্লাজা মার্কেট চত্বরসহ আদানী মোড় এলাকায় মিলছে হেরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজা, ইয়াবা, ¯িপরিড, দেশীয় বাংলা মদসহ সব ধরনের মাদকদ্রব্য।
সূত্রের অভিযোগ, শহরের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী তাদের বৈধ ব্যবসার আড়ালে মাদকের ব্যবসা করে অল্প দিনেই করেছেন জমি জায়গা, বহুতল ভবনসহ কোটি কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স। এর প্রমাণস্বরূপ শহরের পুরাতন বাবুপাড়া এলাকায় এ্যালকো হাজী ও এ্যালকো বিল্ডিং বলে সকলেরই পরিচিত। সরকারের মাদকদ্রব্য নির্মূল আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তাকে যৎসামান্য ঘুষ প্রদান করে মাদক ব্যবসায়ীরা অল্পদিনেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।
শহরের সচেতন মানুষ বলছেন, গত ২ বছর আগে সাইদার রহমান নামের এক পুলিশ কর্মকর্তার সৈয়দপুর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দায়িত্ব নেয়ার পর প্রায় ৮ মাস সৈয়দপুরে মাদক ও জুয়া বন্ধ হয়ে যায়। কারণ তিনি সরকারের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনকে দায়িত্বের সাথে পালন করেছিলেন । কিন্তু তিনি সততাবান ও নিষ্ঠাবান হওয়ায় তিনি বেশিদিন এ শহরে টিকতে পারেননি। ওসি সাইদার রহমান বদলী হওয়ার পরপরই মাদক ব্যবসায়ীরা যেন উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। ফিরে পায় প্রাণ। বন্ধ থাকা ৮ মাসের মাদক ব্যবসা দ্বিগুন আকারে শুরু হয়ে যায়। অবাধ মাদক ব্যবসার বিপক্ষে শহরের মানুষ মুখ খুলে প্রতিবাদ করতেও সাহস পায় না। কারণ প্রতিবাদ করলেই ঘুষখোর অসাধুকর কর্মকর্তাদের দ্বারা নাজেহাল হতে হয় বলে।
সূত্রটি বলছেন, আইন রয়েছে লাইসেন্সকৃত মদ ভাটির বাইরে কেউই এক আউন্স মদ বাইরে বের করতে পারবে না। কিন্তু সেটি না মেনে মদভাটির ব্যবসায়ীরাই প্রায় প্রতিদিনই ব্যারেল ভর্তি মদ পাইকারীভাবে বিক্রি করে চলেছেন। আর এ কারণেই শহরের রেললাইন এলাকা হয়েছে মদখোরদের আস্তানা। এছাড়া শহরের বেশ কটি এলাকায় ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও গাঁজা বিক্রি হচ্ছে খোলামেলাভাবেই। থানার ক্যাশিয়ার পরিচয়ে আবুল কালাম নামের এক পুলিশ কনস্টেবল প্রতিটি মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উৎকোচ আদায় করে চলেছেন। সেই সাথে মাদকদ্রব্য নির্মূল অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা ও পুলিশের সাদা পোশাকধারীদের ঘুষ বাণিজ্যেই মাদক বিক্রেতা নির্ভয়েই মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকার চাচ্ছেন দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ। মাদক ছেড়ে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় ঝুকে পড়–ক আর প্রশাসন চাইছেন তোরা যে যাই করুন ভাই তাদের শুধু টাকা চাই।
কথা হয় থানার এসআই সাইদের সাথে। তিনি বলেন, ওসি ইসমাইল হোসেন সম্প্রতি বদলী হয়েছেন। নতুন ওসি যোগদান করলেই সাবেক ওসি সাইদার রহমানের মতই সরকারের মাদক নির্মূল আইন পুনরায় বাস্তবায়ন হবে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8249086553403308890

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item