কিশোরীগঞ্জে প্রায় দুইকোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে হায় হায় কো¤পানি ।গ্রামীন ব্যাংকের এক কর্মকর্তার জড়িত থাকার অভিযোগ

বি,পি,এম,জয়,কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি/আবু ফাত্তাহ্ কামাল পাখি,স্টাফ রিপোর্টারঃ
কথিত হস্ত শিল্প প্রাইভেট লিমিটেড নামের  একটি হায় হায় কোম্পানীর প্রতারনার খপ্পরে পড়ে প্রায় দুই কোটি টাকার আমানত খুইয়েছে  নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার প্রায় দুই হাজার নিরীহ নারী। রাতের আধারে ওই কোম্পানীর লোকজন সাইডবোড সরিয়ে পালিয়ে গেছে। অভিযোগ উঠেছে এ ঘটনার সাথে  এক গ্রামীন ব্যাংকের কর্মকর্তা সরাসরি জড়িত রয়েছে।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে সরেজমিনে গেলে জানা যায় রাজধানী ঢাকার বনানী হাউজ নম্বর ৩/৫ রোড নম্বর ০২ ব্লক-ই প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা দিয়ে হস্ত শিল্প প্রাইভেট কোম্পানী লিমিটেড নামে একটি এনজিও গত এক বছর ধরে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় কার্যক্রম শুরু করে। এ জন্য তারা উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া গ্রামের মৃত কাবিল উদ্দিনের ছেলে গ্রামীন ব্যাংকের কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন  তার নিজস্ব পাকা ভবনে অফিস স্থাপন করে। ওই কর্মকর্তা নীলফামারীর পার্শ্ববতী দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ি গ্রামীন ব্যাংক শাখার সেকেন্ড অফিসারের চাকুরীরত থাকলেও  তিনি হস্ত শিল্প প্রাইভেট লিমিটেডের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ করা হয়। এ জন্য তিনি ১০জন সুপারভাইজার ও মাঠকর্মী নিয়োগ করে। এলাকার ছেলে হিসাবে  বিশ্বাস করে এই হস্ত শিল্প প্রাইভেট কোম্পানী লিমিটেডের সদস্য হতে থাকে বিভিন্ন ইউনিয়নের নারীরা। এক বছরের মধ্যে এই কোম্পানী প্রশিক্ষনের মাধ্যমে সেলাই মেশিন প্রদানে  উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৩০জন করে মোট ১৩০টি সমিতি গঠন করে। এতে এক হাজার ৯ শত নারী সদস্য হয়। এর জন্য প্রতিজন সদস্যরা ৯ হাজার ৬৩০ টাকা করে জমা করে। এর মধ্যে সদস্য ফি ৩০ টাকা ও সেলাই প্রশিক্ষনের জন্য ৬ শত টাকা এবং প্রতিজনকে একটি করে সিঙ্গার কোম্পানীর সেলাই মেশিন প্রদানের জামানত বাবদ  ৯ হাজার টাকা। এতে  মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় এক কোটি ৮২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। কিন্তু টাকা নেয়ার ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও  কাউকে প্রশিক্ষন বা সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়নি বলে অভিযোগে বলা হয়।
এদিকে জুম্মাপাড়া গ্রামের অধিবাসী ইছাহাক আলীর পুত্র আজহারুল ইসলাম (৫০) জানান তার এই কার্যক্রমে সুবিধা পেতে জুম্মাপাড়ার নারীরা গ্রামীন ব্যাংকের কর্মকর্তা গ্রামের ছেলে জয়নাল আবেদীনের কাছে ধর্না দিলেও তিনি গ্রামের কোন নারীকে সদস্য করেননি। তিনি মন্তব্য করে বলেন জয়নাল অনেক চালাক। সে নিজের গ্রামকে ঠিক রেখে অন্য এলাকার মানুষজনের সাথে প্রতারনা করলো। এর বিচার হওয়া প্রয়োজন। তিনি আরো জানান  জয়নাল গত বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) গ্রামে আসলে বিভিন্ন এলাকার শতশত নারীরা জয়নালকে ঘেরাও করে সেলাই প্রশিক্ষন ও সেলাই মেশিন নতুবা তাদের টাকা ফেরত দাবি করে।  তিনি আগামী এক সপ্তাহ সময় চেয়ে ওই সব বিক্ষুদ্ধ নারীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। কিন্তু পরের দিন শুক্রবার সকালে গ্রামের মানুষজন জয়নালের বাড়িতে তালা ঝুলতে দেখে। পাশাপাশি  হস্ত শিল্প প্রাইভেট লিমিটেডের সাইনবোড আর দেখতে পায়নি। সেই সাথে জয়নাল সহ ওই অফিসে চাকুরীরত কো¤পানির টিম লিডার মেজবাউল হকসহ ১০ জন রাতারাতি এলাকা ছেড়ে চলে যায়।এখন তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে পুটিমারী ইউপির বক্সিপাড়া সমিতির সভানেত্রী গীতা রানী ও  দণি কালিকাপুর দোলাপাড়ার সভানেত্রী রোকসানা বেগম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলে এতোগুলো পরিবার কে জয়নাল আবেদীন প্রতারনা করলো। আমরা এর বিচার চাই।
এদিকে গ্রামীন ব্যাংকের কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীনের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জয়নাল আবেদীনের বড় ভাই বুড়িরহাট দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, হস্ত শিল্প প্রাইভেট লিমিটেডে ওই কো¤পানির সঙ্গে তাদের কোনো স¤পর্ক নেই। তারা তার ছোট ভাই জয়নাল আবেদীনের  বাসাটি ভাড়া নিয়েছিল মাত্র। কিন্তু বাসা ভাড়া বাকী রেখে রাতের আধারে তারা পালিয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

আইন-অপরাধ 3733614742908803130

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item