বাংলার ঐতিহ্য গরুগাড়ী এখন শুধুই স্মৃতি

আবু ছাইদ, চিলাহাটি, নীলফামারী ঃ
পুরোনো দিনের একটি জনপ্রিয় গান যেমন ওকি গাড়িয়াল ভাই হাকাও গাড়ী তুই পান্তের পানে চাইয়া যেমন আর শুনা যায় না ঠিক ঐরুপ গ্রাম বাংলায় তারই ঐতিহ্য গরু গাড়ি আর দেখা যায় না। শহর বন্দর তো দুরে থাক এখন গ্রাম অঞ্চরের ছেলে মেয়েরা গরু গাড়িতো দেখেনি বরং নামটিও যেন তাদের অপরিচিত। দিন যায় ক্ষন যায় বিজ্ঞানের নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং আবিষ্কারের উদ্ভাবন হচ্ছে মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন ঘটছে। ক্ষনেক সময়ে আর অল্প পরিশ্রমে বেশি বেশি কাজ করা যায় এমন প্রযুক্তির কারনে অনেক কিছুই সম্ভব হয়ে উঠছে। ডিজেল, পেট্রোল, ইলেকট্রিক মটর চালিত গাড়ীর পাশে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য গরুগাড়ি টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। পূর্বের দিনে গ্রামের বিয়ে, মাঠ থেকে ধান ঘরে তোলা, জমিনে সার দেয়ার জন্য সার বহন সহ অনেক কাজ গরু গাড়ি ছাড়া হতোই না। আর আজ অত্যাধুনিক  যন্ত্রের গাড়ি হওয়ায় ঐতিহ্যবাহি গাড়ী গরু গাড়ির আর প্রয়োজন পড়ে না। এই ঐতিহ্যবাহী গরুগাড়ি যে চাকার উপর ভর করে মাটির রাস্তায় চলে  সেই চাকা (পায়া) ছিল কাঠের তৈরী। যেমন টি করে এই গাড়ি হারিয়ে যাচ্ছে ঠিক তেমনটি করে হারিয়ে যাচ্ছে সেই কাঠের তৈরী চাকা (পায়া) । এই গাড়ি যখন চলতো তারই প্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠে ছিল এসব কাঠের তৈরী চাকার কারখানা । এতেকরে হাজারো মানুষ এ পেশাকে আপন করে নিজেদের সংসার বাঁচাতো। নীলফামারী জেলায় আজ থেকে ২০ বছর পূর্বে প্রায় বাড়ীতে একটি গরুগাড়ী ছিল বলে জানা যায়। বিত্তবান, ধনাঢ্য পরিবারে একের অধিক গরু গাড়ী ছিল। এই গাড়ীর উপর নির্ভর করেই চলতো গ্রাম বাংলার অনেক পরিবার। মালা মাল বহন করা, গ্রামের নতুন বধু স্বামী ও বাবার বাড়ী যাতায়াত করতো। বর্তমানে বাস, মাইক্রো, নসিমন, অটো রিক্সা, অটো ভ্যান সহ বিভিন্ন ইঞ্জিন চালিত নানান রকম গাড়ীর ভিড়ে চোখে পড়েনা এ দৃশ্য ।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 359777667315671684

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item