চোরে-চোরে মাসতুতো ভাই অভিযুক্ত শিকদের সাথে নিয়ে তদন্তে গেলেন-শিক্ষা কর্মকর্তা।।

জাহাঙ্গীর আলম রেজা,ডিমলা প্রতিনিধিঃ

নীলফামারীর ডিমলায় অভিযুক্ত শিক্ষককের নিয়ে শনিবার দুপুরে তদন্তে গেছেন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা। বিদ্যালয়টি তদন্তে গিয়ে বিদ্যালয়ের স্থান নিশ্চিত করার জন্য প্রধান শিক্ষককে নিয়ে তদন্তে গেলেন শিক্ষা কর্মকর্তা। তিস্তার বন্যা ও ভাঙ্গনের কবলে পড়া নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি মধ্য সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টির শিক্ষকদের অনুপস্থিতিতে অচল হয়ে পড়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। বিদ্যালয়টি চালু দেখানো হলেও শিক্ষকদের অনুপস্থিতির কারনে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তিস্তার দূর্গম চর এলাকার শিক্ষা বঞ্চিত শিশুরা। বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিকসহ দুইজন শিক্ষক কাগজে কলমে চাকুরীরত রয়েছে। আর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ দুইজন শিক্ষক স্কুলে না গিয়ে বসে বসে তুলছেন সরকারের বেতন ভাতা। প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগও দুর্গম চরাঞ্চলের ধোয়া তুলে উক্ত বিদ্যালয়ে কোনদিন পরিদর্শন করেননি। এমনকি বিদ্যালয়টির অবস্থান সম্পর্কে জানেননা শিক্ষা বিভাগ,ও এই কর্মকর্তা।শনিবার দুপুরে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বেলাল হোসেন, বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের ভিত্তিতে অভিযুক্ত প্রধান শিক শাহাদাত হোসেন ও সহকারী শিক্ষক প্রশান্ত কুমার রায়কে সাথে নিয়ে বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যান। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিস মাসেতো দূরের কথা বছরের পর বছর বিদ্যালয়ে না গিয়েও বেতন উত্তোলন করে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইন নিউজপোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হবার পরে টনকনড়ে উপজেলা
শিক্ষা কর্মকর্তাদের।কিন্তু তবুও অভিযুক্তদের নিয়ে তদন্তে যান শিক্ষা কর্মকর্তা। চরবাসীর অভিযোগ টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ী মধ্য সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে দুই জন শিক্ষক রয়েছে। প্রধান শিক্ষক শাহাদাত হোসেন মাসে ১ দিন আর সহকারী শিক্ষক প্রশান্ত কুমার রায় ৩ বছরের আগে সেখানে যোগদানের পর আর স্কুলে যেতে দেখা যায়নি। সহকারী শিক্ষক প্রশান্ত কুমার রায় ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাঁপানি ইউনিয়নের সরকার দলীয় রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ে যান না। প্রধান শিক্ষক উপজেলা শিক্ষা অফিসের মিটিং সিটিং এর অজুহাত
দেখিয়ে ও নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত থাকেন,তিনি মাসে এক দুইদিন আসেন। অপর সহকারী শিক্ষক ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের প্রশান্ত কুমার রায় সরকার দলীয় নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন ৩ বছর ধরে। একটি সুত্র জানায়, বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতা প্রধান শিকের বাড়িতে থাকায় তারা বাড়িতে বসেই দীর্ঘ মাস হতে স্কুলের হাজিরা খাতায় উপস্থিতির স্বার কওে সরকারি বেতন ভাতা উত্তোলন করে চলেছে। সহকারী শিা কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়টির স্থান ( লোকেশন) জানি না বাধ্য হয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষককে নিয়ে বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন পত্রিকায় বন্যার ভাঙ্গন ও শিকের বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়ার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। আর বিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারন ও বন্যায় তিগ্রস্থের পরিদর্শন করার জন্য শিকের সঙ্গেনিয়ে যাওয়া হয়েছে।জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিলীপ কুমার বনিক বলেন, বিষয়টি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মারফত জানতে পেরে দ্রুত তদন্ত করতে ডিমলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে নির্দেশ প্রদান করি। কিন্তু অভিযুক্ত শিক্ষকদের নিয়ে বিদ্যালয়ের পরিদর্শন করা সঠিক হয়নি। বিষয়টি খোজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 8665657620975544786

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item