ডোমারে মির্জাগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধার কন্যাকে ধর্ষনের অভিযোগ

আনিছুর রহমান মানিক,ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার মির্জাগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধার কন্যাকে ধর্ষন করে স্কুল শিক্ষক পলাতক রয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জোড়াবাড়ী  ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মাঝাপাড়া গ্রামে। সরেজমিনে জানাযায় উক্ত গ্রামের আবুল হাচানের লম্পট পুত্র জোড়াবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীর চর্চ্চা শিক্ষক রতন আলী (৩০)তার স্ত্রী সন্তান রেখে জৈনেক বীর মুক্তিযোদ্ধার বিধোবা কন্যা ৩ সন্তানের জননীকে বিয়ের প্রলোভন দেখীয়ে দীর্ঘ দিন ধরে প্রেম ভালবাসার অভিনয়  করে আসছে। মহিলাকে বিয়ে ও ঘড়ে তুলে নেয়ার কথা বললে নানা তালবাহানা দেখীয়ে তার কাছ থেকে মটর সাইকেল ও অন্যত্র বাড়ী করে দেয়ার নাম করে ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে লম্পট রতন মাষ্টার মর্মে মহিলাটি অভিযোগ করেন। মহিলাটি আরো জানান, দির্ঘ দিন ধরে তার বাড়ীতে আসা যাওয়া থেকে শুরু করে থাকা খাওয়া ও বাজার পর্যন্ত চালিয়ে আসে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৮মে বৃহস্পতিবার কাজী অফিসে বিয়ে করার প্রতিশ্র“তি দিয়ে মহিলাটিকে সাথে নিয়ে লম্পট রতন মাষ্টার দিনাজপুর এলাকায় তার বন্ধুর বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে রাত্রী যাপন করে এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মহিলাটিকে জোরপূর্বক ধর্ষক করে বিয়ে না করে চলে আসে। সেইদিন থেকে মহিলাটির সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে করে মহিলাটি ক্ষিপ্ত হয়ে ৩১মে রতন মাষ্টারের সাথে মির্জাগঞ্জ রেল ষ্টেশন বাজার জামাল উদ্দিনের স-মিলের সামনে দেখতে পেয়ে তাকে আটক করে। ধস্তা ধস্তির এক পর্যায়ে রতন মাষ্টার মহিলাটিকে বেধর মারপিট করে মহিলাটিও মিলের খড়িদ্বাড়া তার মটর সাইকেল ভেঙ্গে দেয়। একইদিন সন্ধ্যায় মহিলাটি ডোমার থানায় মামলা করতে গেলে রতন মাষ্টার মহিলাটির হাতে পায়ে ধরে মামলাটি দেয়া বন্ধ করে। পড়ে নিজেই মহিলাটির বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেয়। সেসময় দুজনে থানার পার্শে আবারো হাতাহাতি শুরু করে। অবস্থা বেগতিক দেখে রাত ১২টায় ডোমার হতে অটোযোগে মির্জাগঞ্জ কলেজ মোড়ে নেমে লম্পট রতন মাষ্টার কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। মহিলাটি তাকে ধাওয়া করলে না পেয়ে ভালবাসার ও ইজ্জত নষ্টের দাবী নিয়ে রতন মাষ্টারের বাড়ীতে অবস্থান নেয়। রতন মাষ্টারের স্ত্রী ও মা তাকে বাড়ীতে ঢুকতে না দেয়ায় মহিলাটি আতœহত্যার হুমকি দেয়। সংশ্লিষ্ট  ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ও মফিজুল এসে মহিলাটিকে বুঝিয়ে আগামী কাল সকাল ১০টায় পরিষদে বিচার সালিশের ব্যাবস্থা করবে বলে তাকে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। পরদিন লম্পট রতন মাষ্টার পলাতক থাকায় বিচার শালিশ করা সম্ভব হয়নি বলে ইউপি সদস্য গণ জানান। মহিলাটি লম্পট মাষ্টারকে খুজছে এবং বিচারের আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ধন্যাদিচ্ছে। এবিষয়ে মহিলাটির ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্বাছ আলী প্রতিবেদককে জানান, লম্পট রতন মাষ্টার প্রায় রাতে বেরাতে মহিলাটির বাড়ীতে যায় এলাকাবাসী অভিযোগ করলে মাষ্টাকে আটক করে জিজ্ঞাসা করলে বিয়ের কথা শিকার করে কাবিন নামা দেখতে চাইলে ৭দিন সময় নিয়ে অদ্যবদি দেখাতে পারে নাই। তিনি আরো বলেন, এবার লম্পট রতন মাষ্টার মহিলাটির বাড়ীতে গেলে গণধোলাই দেয়া হবে। শিক্ষককে বলা হয় গুরু ও মানুষ গড়ার কারীগড় সেই শিক্ষককের দ্বারা এ ধরনের কাজ সংগঠিত হওয়ায় শিক্ষক মহলকে খাটো করেছে বলে জোড়াবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুর ইসলাম জানান। ধর্ষনের মতো গুরুত্বর অপরাধের  সঠিক বিচার না হওয়ায় ক্ষোপ জানিয়েছে এলাকাবাসী। ধর্ষক রতন মাষ্টারের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জোর দাবী জানিয়েছেন মহিলাটির  পরিবার।

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item