ডোমারের মিরজাগজ্ঞে কলেজগামী ছাত্রীকে ভুট্টা ক্ষেতে শ্লীলতাহানি ছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে আতংক


আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রিপোর্টার ও আনিছুর রহমান মানিক,ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধি>>নীলফামারীর ডোমারে কলেজগামী ছাত্রীকে রাস্তা থেকে জোর পূর্বক  ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে শ্লীলতাহানির ঘটনায় বিচারের নামে প্রহসন করায় অর্ধ- সহ¯্রাধিক ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে ।

সরেজমিনে জানাগেছে, উপজেলার মিরজাগজ্ঞ কলেজে  তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারিক পরীক্ষা দিয়ে গত রবিবার (১০ই মে) দুপুরে বাড়ী ফিরছিল এইচ,এস,সি জনৈক পরীক্ষার্থী সোমা (ছন্ম নাম)। পথে ভাজনী এলাকায় জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের হলহলিয়া গ্রামের কানারহাটের ট্রলি চালক দুই সন্তানের জনক সামছুল তাকে একা পেয়ে রাস্তা থেকে টেনে হেঁচরে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে যায় ।মুখে গাঁমছা দিয়ে বেধেঁ শ্লীলতাহানির ঘটায় ।মেয়েটির চিৎকারে ফুল্লরা বেগমসহ এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সামছুল পালিয়ে যায় ।এ ঘটনায় ঐদিনই রাতে মিরজাগজ্ঞ কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য ও জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে শালিস বৈঠক বসে ।সামছুল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলে উত্তম-মধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় ।এ ঘটনায় মিরজাগজ্ঞ কলেজ ,মিরজাগজ্ঞ হাইস্কুল,মিরজাগজ্ঞ বালিকা বিদ্যালয়ের অর্ধ- সহ¯্রাধিক অভিভাবক ও ছাত্রীর মধ্যে আতংক বিরাজ করছে ।
 উল্লেখ্য,পার্শ্ববতী দেবীগজ্ঞ উপজেলার টেপরিগজ্ঞের ভাজনী গ্রামের অংকুপাড়ার আব্দুল কাদেরের মেয়ে । এইচ এসসি পরীক্ষার্থী  সোমার এখনও পরীক্ষা চলছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির ডোমার ইউনিয়ন সলিসিটর রোজিনা আক্তার জানান,ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তে শ্লীলতাহানির সত্যতা পাওয়া গেছে ।গ্রাম্য মাতবরদের হুমকী ,লোক লজ্জার ভয় ও মেয়ের বিয়ের কথা চিন্তা করে আইনের আশ্রয় নেয়নি ।এলাকায় অন্যন্য ছাত্রীদের মধ্যে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দেওয়ায় আতংক বিরাজ করছে ।
এ ব্যাপারে মিরজাগজ্ঞ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক এস,এম আব্দুল কাদের জানান,স্কুলের শত শত ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্টানে তাদের মেয়েদের পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন ।অভিভাবকরা জানিয়েছেন,তাদের মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ করে বিয়ে দিয়ে দেবেন ।
এ ব্যাপারে মিরজাগজ্ঞ কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ার হামিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,আমাকে ডেকেছিল আমি যাইনি ।স্থানীয় মেম্বারসহ বেশ কয়েকজন মিলে সামাজিকভাবে বিচার করেছে শুনেছি ।
এ ব্যাপারে জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলাম শালিসের সত্যতা স্বীকার করে জানান,এমন শাস্তি দিয়েছি,আর কেও এমন অপকর্ম করার সাহস পাবে না ।

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item