কিশোরগঞ্জে ধানের ন্যায্য মুল্য না পাওয়ায় কৃষকেরা হতাশ

বিপিএম জয়,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধি ॥
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ধানের ন্যায্য মুল্য না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পরেছে কৃষকরা। এবারে এ উপজেলায় ১০ হাজার ৭০৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদ হয়েছে। ধান উৎপাদন হবে ৬৬ হাজার ৬৩৮ মেট্রিক টন। কিন্তু মওসুমের শুরুতে ধানের বাজার দর নি¤œ গতির হওয়ায় ধান নিয়ে বেকায়দায় পরেছেন কৃষকরা। বর্তমান ধান কৃষকের গলার কাটা হয়ে বিঁধছে। বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের কৃষক আলম হোসেন জানান, বর্তমান বাজার দরে ধান বিক্রি করে ধানকাটা শ্রমিকের খরচও উঠছেনা। ১মন ধান (৪০ কেজি) বিক্রি করে দুজন শ্রমিকের মজুরী হচ্ছেনা।
দুজন শ্রমিকের মজুরী ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। চাঁদখানা ইউনিয়নের নগরবন্দ গ্রামের কৃষক কাশেম আলী বলেন, ধানের দাম এরকম কম জানলে বাণিজ্যিক ভাবে ধান চাষাবাদ করতাম না। ১বিঘা (৬০ শতাংশ) জমির ধান কাটতে ১৬ জন শ্রমিকের প্রয়োজন। তাদের মজুরী দিতে হয় চার হাজার টাকা। সরঞ্জাবাড়ী গ্রামের কৃষক রনো মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ধান দিয়ে মহা বিপাকে পরেছি। একদিকে শ্রমিকের মজুরী বৃদ্ধি অন্যদিকে ধানের দাম না থাকায়। এখন কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা। এরকম ধান নিয়ে সমস্যার কথা কৃষক মাসুদ, শরিফুল ইসলাম, বাচ্চা মিয়া ও বুলবুল আহম্মেদসহ অনেকে বলেন। ধান ব্যবসায়ী বাবুল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বাজারে চাহিদার চেয়ে ধানের আমন বেশি হওয়ায় দাম পরে গেছে। মওসুমের শেষ দিকে হয়ত দাম বাড়তে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম বলেন, আমাদের কাজ হচ্ছে ফসলের উৎপাদন কৃদ্ধি করা। কৃষকরা যাতে ধানের ন্যায্য মুল্য পায় এজন্য আমরা সরকারের কাছে লিখব।

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item