জলঢাকায় পরিবেশের ভারসাম্য রা ও দারিদ্র বিমোচনে সামাজিক বনায়ন কর্মসুচীর সাফল্য

মর্তুজা ইসলাম, জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ
সবুজ-শ্যামল প্রান্তর। আজ তপ্ত রোদে জিড়িয়ে নেওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ। পরিবর্তন হয়েছে এক সময়ের গরম মাটি এখন শীতল। চারদিক পাখির কিচিরমিচির ডাক। যেন নিয়ে চলে স্বস্তির শ্বাস নেওয়ার তরে কোলাহল মুক্ত অন্যন্য পরিবেশে। অন্য কোথাও নয়। নীলফামারীর জলঢাকা ধর্মপাল
ইউনিয়নের গড় ধর্মপাল এলাকা। দারিদ্র বিমোচনকে মাথায় রেখে এখানে ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ৩০ প্রজাতির  গাছ লাগানো হয়েছে। ১০ বছর মেয়াদী প্রকল্পে তিস্তা ও বুড়ি তিস্তা নদীর অববাহিকা অঞ্চলের নদী ভাঙ্গন রোধ প্রশমনের ল্েয সামাজিক বনায়ন প্রকল্পটি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “তিস্তা বহুমুখী সমাজ কল্যান সংস্থা” বাস্তবায়ন করছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয়ের জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাষ্টি বোর্ড ও পিকেএসএফ-এর অর্থায়নে উপজেলার ধর্মপাল ও গোলনা ইউনিয়নে ২০১১ সালে ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৬.৮৮ কি.মি. ৩৬ হাজার ৮শ গাছ লাগানোর ল্যমাত্রা ধরা হলেও সংস্থাটির চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ৪৪ হাজার চারা রোপন করেন বলে জানান সংস্থার চেয়ারম্যান। প্রকল্পটিতে উপকার ভোগী রয়েছেন ১৮০ জন। প্রকল্পটি শতভাগ সফল হলে ৫৫% অর্থ সুবিধা ভোগীদের মাঝে বিতরণ করে দারিদ্র বিমোচনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে জানান বাগানের সদস্য ভবেশ চন্দ্র।
একদিকে জলবায়ু বিরুপ প্রভাব রোধের পরিকল্পনা অপরদিকে দারিদ্র বিমোচনে কাজ করছে প্রকল্পটি। এসব চারা তদারকির জন্য দায়িত্বে ৩৬ জন পাহাড়াদার নিযুক্ত রেখেছেন। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। কখনো নিজেই প্রকল্প এলাকায় গিয়ে নিজ হাতে গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেছেন, সময় মত সার দিয়েছেন কখনো সঠিক পরিচর্যা করে সুস্থ সবল বৃরে সমাহারে পরিনত করেছেন এলাকাটি। যা না দেখলে বিশ্বাস করা দায়। দৃষ্টিনন্দন এ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ভিড় জমায় প্রতিনিয়ত। স্টিপ বাগান জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট “সামাজিক বনায়ন কর্মসুচির মাধ্যমে তিস্তা, বুড়ি তিস্তা অববাহিকা অঞ্চলের নদী ভাঙ্গন ও তিস্তা ব্যারেজের বিভিন্ন ক্যানেলে ভাঙ্গন প্রশমন” শীর্ষক প্রকল্প আর সফলতায় দেলোয়ার হোসেনকে ওই এলাকায় সবাই তাকে সামাজিক বনায়নের রুপকার হিসাবে চেনে এমন কথা জানান ধর্মপাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। ধর্মপাল হাড়িকোট গ্রামের মৃত নীলমন বর্মনের ছেলে সুপাং চন্দ্র (৬০) জানান, “চৈত্রের প্রখর রোদের তাপে এখানে বলতে গেলে বসবাসের অযোগ্য ছিল।
বর্তমানে গাছ পালাগুলো উঠতে শুরু করলে এখনকার আবহাওয়ায় শীতলতা নেমে আসে। পর্যায় ক্রমে বসবাসের জন্য বাড়িঘরও বাড়ছে”। সেখানে গাছ পরিচর্যার জন্য নিয়োজিত সদস্য আব্দুল হামিদ জানান, আমাদের দারিদ্র বিমোচনে এই প্রকল্পটি গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রকল্পটির ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি সংস্থাটির চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন। তার এমন  সাফল্যে আনন্দিত। তিনি জানান জলবায়ু পরিবর্তনে এই অঞ্চলের দারিদ্রতা বিমোচন মাথায় রেখে আমি আমার সর্বশক্তি নিয়োগ করে কাজ করছি। উপজেলা বন কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন জানান, জলবায়ু বিরুপ প্রভাব রোধে ও দারিদ্র বিমোচনে গাছ লাগিয়ে বিপ্লব ঘটিয়েছে সংস্থাটি। প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থার চেয়ারম্যান দেলোয়ারের এই দৃষ্টান্ত গোটা দেশে একটি মডেল হবে বলে আমি মনে করি।  

পুরোনো সংবাদ

নিবিড়-অবলোকন 3280947530803203861

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item