পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ও সড়ক সংস্কার নেই ভোগান্তির শিকার হাজারো মানুষ

মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি-
রাস্তাটি সংস্কার করা হয় না দীর্ঘ দুই যুগ। অনেক আগেই রাস্তাটির পিচ ও খোয়া উঠে গেছে। সেই সাথে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও করা হয়নি। এর ফলে সামান্য বৃষ্টিতে প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তায় পানি জমে যায়। এতে করে ওই রাস্তা দিয়ে এলাকার নামাজি মানুষ স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়–য়া শিক্ষার্থীরা হরহামেশাই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। গতকাল বাঙ্গালীপুর নিজপাড়ার মরহুম ফয়েজ কন্ট্রাক্টরের বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা গেছে এমনই চিত্র।

এলাকাবাসী জানায়, দুই যুগ আগে নির্মিত এ রাস্তাটি বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত চলে গেছে। দীর্ঘ ১ কিলোমিটার এলাকার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও মাদ্রাসায় যাতায়াত করেন। দীর্ঘদিনের ভোগান্তি নিরসনে এলাকাবাসী বর্তমান পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকারকে অভিযোগ করলে তিনি ওই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। এ বরাদ্দে সম্প্রতি দুলাল নামের এক ঠিকাদার সংস্কার কাজও শুরু করেন। তিনি যে সংস্কার কাজটি করছেন তা না করারই সামিল। নামমাত্র কাজ করে সমুদয় টাকাটাই আত্মসাত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন তিনি। রাস্তাটি যেখানে ভেঙ্গে গর্ত হয়ে গেছে সেগুলি ভরাট করে হাফ ইঞ্চি চিপ ঢালাই দেওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকাদার দুলাল নামমাত্র খোয়া ও পিচ দিয়ে রোলার করার পর বালু ছিটিয়ে দিচ্ছেন।
সম্প্রতি ওই এলাকার মরহুম ফয়েজ কন্ট্রাক্টরের বাড়ির সামনে সারাক্ষণ পানি জমে থাকা রাস্তাটিও একইভাবে কাজ করার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী ওই রাস্তাটির সামান্য উঁচু করার কথা বলতে ঠিকাদার দুলাল কাজটি বন্ধ করে চলে যান এবং সেই থেকে সংস্কার কাজও বন্ধ হয়ে যায়। অপরদিকে ড্রেন না থাকায় রাস্তার উপর জমে থাকা পানিও সরছে না।
ওই এলাকার আলহাজ্ব মতিউর রহমান কাল্লু ও হাফেজ মো. রাসেল বলেন, ওই আধা কিলোমিটার রাস্তা পার হওয়া যে কত কষ্টকর তা কেবল পথচারিরাই জানেন। বাঙ্গালীপুর নিজপাড়া এলাকার প্রবীণ শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, এলাকাবাসীর দাবির মুখে পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার বরাদ্দ দিলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোসলেম উদ্দিনের ঢিলামী ও তদারকি না থাকার কারণেই ঠিকাদার নামমাত্র কাজ করে সটকে পড়ার চেষ্টা করছেন।
পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার জানান, এলাকাবাসীর সমস্যা সমাধানের জন্যই রাস্তাটি সংস্কারে ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যদি ঠিকাদার সংস্কার কাজে দুর্নীতি ও অনিয়ম করে থাকেন তাহলে পুনরায় ওই ঠিকাদারকেই রাস্তাটি সংস্কার করতে হবে বলে জানান তিনি। পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তাটির সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার পরই ড্রেন নির্মাণের জন্য মোটা অংকের বরাদ্দ দেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে তার।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 2310993857588023958

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item