সৈয়দপুরে ভূমিহীন ও গৃহহীন গজেন চন্দ্র রায় পেলেন মুজিব ছায়া প্রকল্পের গৃহ


তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: 

“ মুই কোন দিন কল্পনাও করো নাই, মোর নিজের একখন্ড জমি ও পাকা ঘর হবে। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া  একখন্ড জমি ও বাড়ি পানু মুই। আর মুই দোয়া করো শ্যাখের বেটি প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ভালো থাকুক, অনেক দিন বাঁচুক।  নিজের নামে একখন্ড জমি ও আধাপাকা গৃহ পেয়ে  এভাবে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন নিজমজুর গজেন চন্দ্র রায়। এ সময় তাঁর চোখেমুখে ছিল আনন্দ আর হাসি।

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ভূমিহীন ও গৃহহীন গজেন চন্দ্র রায় (৭০)। পেশায়  একজন দিনমজুর তিনি।  নিজের একখন্ড জমিও নেই তাঁর। এতোদিন তিনি উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নে লক্ষণপুর ব্রাক্ষনপাড়ায় অন্যের জমিতে ঘর করে কোন রকমে পরিবার পরিজন নিয়ে দিন অতিবাহিত করেছেন। গতকাল রোববার সকালে তিনি মুজিবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নিদের্শে পুলিশের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে নির্মিত গৃহে স্বপরিবারে উঠেছেন। 

 খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা রয়েছে মুজিববর্ষে দেশের কেউ গৃহহীন থাকবে না। তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) ওই ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ দেশের প্রতিটি থানায় একটি করে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বাড়ি নির্মাণ করেন। আর এর নামকরণ করা হয়েছে ‘মুজিব ছায়া”।  সৈয়দপুর শহরের কুন্দল মৌজায় ২৪০ নম্বর বিএস খতিয়ানের ৫০৮ নম্বর দাগে রংপুর দিনাজপুর মহাসড়ক ঘেঁষে আড়াই শতক জমির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে মুজিব ছায়া প্রকল্পের একটি বাড়ি। মুজিব ছায়া প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দুই শতক জমি দান করেছেন  সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী যুব লীগ নেতা মো.  মোস্তফা ফিরোজ। তাঁর দানকৃত জায়গায় সরকারি অর্থায়নে পুলিশ প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে গৃহ নির্মাণ কাজ করা হয়। সরকারে মুজিব ছায়া নামের প্রকল্পের আওতায় নির্মিত গৃহে রয়েছে দুইটি কক্ষ, একটি বাথরুম, একটি টিউবওয়েল। এছাড়াও রয়েছে দুইটি ফ্যান ও প্রয়োজন সংখ্যক বাতি।

গতকাল  রোববার (১০ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে মুজিব ছায়া প্রকল্পের  আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। আর এর পর পরই নীলফামারী সৈয়দপুরে মুজিব ছায়া প্রকল্পের আওতায়  নির্মিত গৃহ হস্তাস্তর করা হয় ভূমিহীন ও গৃহ দিনমজুর গজেন চন্দ্র রায়ের কাছে।  আর ভূমিহীন ও গৃহহীন গজেন চন্দ্র রায় গতকাল  পক্ষাঘাতগ্রস্থ স্ত্রী চম্পা রানী, ছেলে যতীন চন্দ্র রায় এবং ছেলের বউ ও দুই নাতি-নাতনিকে নিয়ে ওই বাড়িতে উঠেছেন।

মুজিব ছায়া’র জন্য জমিদাতা  যুবলীগ নেতা মোস্তফা ফিরোজ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি ’৭১  দেখিনি, শুনেছি। জাতীর পিতা আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। যার জন্য আজ আমরা স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছি। পাশাপাশি যে কোন মুর্হুতে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে তাঁর সকল কর্মকান্ডে আমার একনিষ্ট অংশ গ্রহন থাকবে।                          


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8862480716989312015

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item