কিশোরগঞ্জে নদী খননের লুপ কাটিং ও ব্লক নির্মান কাজে অনিয়ম, সংসদ সদস্য হস্তক্ষেপে কাজ বন্ধ
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ নীলফামারী সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় কিশোরগঞ্জ উপজেলায় নিতাই ইউনিয়নে চাড়ালকাটা নদীর ৭৫০ মিটার লুপকাটিং খনন ও সিসিব্লক নির্মানের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে অনিয়মের সত্যতা পেয়ে উক্ত কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন নীলফামারী ৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল।
অভিযোগে জানা যায়, সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে চাড়ালকাটা নদী লুপ কাটিং খনন কাজের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অপর দিকে সিসি ব্লক তৈরীর ও প্লেসিং কাজে বরাদ্দ রয়েছে ৬ কোটি ৪০ লাখ ১৫ হাজার টাকা। প্যাকেজ নম্বর-লুপ-১/চাড়ালকাটা/সৈয়দপুর ও তীর সংরক্ষন ১৮ চারালকাটা /সৈয়দপুর। ঠিকাদার হিসাবে রয়েছে এ,কে,এ এন্ড কেসি ইএল( জেএন) ঢাকা। কাজটির তদারকি কাজে রয়েছেন সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল চন্দ্র সরকার, উপ বিভাগী প্রকৌশলী শাহ মোঃ মোফাক্কারুল ইসলাম ও শাখা কর্মকর্তা আসলাম বাবর।
গত ০৬/০১/২০২২ “চারালকাটা নদী খনেন মাটি অনত্র বিক্রির অভিযোগ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা সংসদ সদস্য সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল নজরে আসে।
এবিষয়ে সংসদ সদস্য সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল জানান, বেশ কিছু দিন ধরে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কর্মকর্তা ওই কাজের তদারকি করছেন না। ফলে ঠিকাদার ইচ্ছে মতো নদী খনন করে তার মাটি নদীতীরে সংরক্ষন না করে অবৈধভাবে বিক্রি করে দিচ্ছে। পাশাপাশি নিম্নমানের পাথর দিয়ে সিসি ব্লক তৈরী করছে। এ প্রকল্প এলাকার মাটি একটি নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দরপত্র বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিক্রি করার নিয়ম থাকলেও মানছেন না সিন্ডিকেট চক্র। অবাধে দিনে ও রাতে নদীর মাটিও বালু বিক্রি করে দিচ্ছে। সংসদ সদস্য বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে অনিময়মের সত্যতা পাই। কাজের স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন তদারকি কর্মকর্তাকে খুঁজে পাইনি। আমি তাৎক্ষনিকভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর সাখে কথা বলে এই কাজ আপাতত বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছি। বিষয়টি পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়কে অবগত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো বলে সাংসদ আদেল উল্লেখ করেন।
সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল সরকার এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলকে অপারগত প্রকাশ করেন।#