সৈয়দপুরে ধর্ষণ মামলার আসামীর হাসপাতাল থেকে পলায়ন
তোফাজ্জল হোসেন লুতু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে ধর্ষণ মামলার এক আসামী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে পালিয়ে গেছে। তার নাম মো. ফয়সাল (২৭)। সে সৈয়দপুর শহরের গোলাহাট কবরস্থান এলাকার জনৈক নাঈমের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর শহরের গোলাহাট কবরস্থান এলাকার জনৈক নাঈমের ছেলে দুই সন্তানের জনক ফয়সাল (২৭)। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে ফয়সাল তার স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ফাঁকা বাসায় ডেকে নেয় । এ সময় মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করলে মেয়েটি চিৎকার দেয়। পরে এলাকার লোকজন ঘটনাটি জানতে পেরে ফয়সালকে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে তারা ধর্ষক ফয়সালকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন। ধর্ষণের ঘটনায় আটক ধর্ষক জনরোষ থেকে বাঁচতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনা দেখে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনার পর ধর্ষিতার পিতাসহ লোকজন ধর্ষিত ছাত্রীকে নিয়ে সৈয়দপুর থানায় আসে। সেখানে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদেওই স্কুল ছাত্রী তাকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। পরে এ ব্যাপারে ধর্ষিতার দিনমজুর পিতা বাদী হয়ে ধর্ষক ফয়সালকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করেন। মামলার দায়েরের পর থানা পুলিশ ধর্ষক ফয়সালকে গ্রেপ্তার করতে হাসপাতালে যান। কিন্তু তার আগে সেখান থেকে পালিয়ে যায় ধর্ষক ফয়সাল।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল হাসনাত খান ধর্ষণের ঘটনায় মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে পুলিশ পৌঁছার আগেই ধর্ষক ফয়সাল হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে পালিয়ে যায়। তবে তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।