যেখানে এখন বাশের সাঁকো, সেখানে এবার সেতু হবে


মেহেদী হাসান উজ্জ¦ল,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দির্ঘ পতিক্ষার পর দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের ৯ গ্রামবাসী স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। ওই ইউনিয়নের শাখা যমুনা নদীর মুছির ঘাট এলাকায় একটি সেতুর জন্য দীর্ঘ দিনের দাবী ছিল এলাকাবকাসীর, তা আজ পূরণ হওয়ার পথে। ওই এলকা দিয়ে প্রবাহিত ছোট যমুনায় একটি সেতুর জন্য তাদের করতে হয়েছে নানা কষ্ট। একসময় ভরসা ছিল সাঁকো। সেই সাঁকো ভেঙ্গে গেলে দড়ি টাকা নৌকা। সেই স্থানেই হবে এবার ব্রিজ।

ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ওই স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের টেন্ডার হয়েছে শিঘ্রই দ্রুত সময়ের মধ্যে সেখানে ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ হয়েছিল। ২০১৭ সালের স্মরণীয় ভয়াবহ বন্যার পানির তোড়ে সাঁকোটি ভেঙে পানিতে ভেসে যায়। নদীর দুই পাড়ের ৯ গ্রামবাসীকে জরুরী কাজে দুই কিলোমিটারের পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে ১০ কিলোমিটার। সময় বাঁচাতে গ্রামবাসীরা খরার সময় হাটুপানি নদী ডিঙিয়ে এবং নদীতে পানি থাকলে নৌকায় পারাপার করেন। এতে অর্থ ও সময় দুই’ই নষ্ট হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে ওই ৯ গ্রামবাসীকে।  

সরেজমিনে শিবনগর ইউনিয়নের মুচির ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, বয়ে যাওয়া ছোট যমুনা নদী একপ্রান্তে পাঠকপাড়া ও অপরপ্রান্তে কুমারপুর। সেখানে একটি বাঁশের সাঁকো থাকলেও ২০১৭ সালের স্মরণীয় বন্যার পর আর দেখা মিলেনি সাঁকোটির। সাঁকোটি না থাকায় নদীর পশ্চিম প্রান্তের পাঠকপাড়া, শমশেরনগর, চোকারহাট, মল্লাই ও মদনপুরের জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় কাজের জন্য নদীর পূর্বপ্রান্তের শিবনগর ইউনিয়ন পরিষদ ও ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া সহ বাজারে যেতে দুই কিলোমিটারের পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে ১০ কিলোমিটার। 

একইভাবে নদীর পূর্বপ্রান্তের কুয়ারপুর, মহেশপুর শিবনগর ও পলিশিবনগর গ্রামবাসীকে পশ্চিমপ্রান্তে জরুরী প্রয়োজনে যেতে হলে ঘুরে যেতে হয় ১০ কিলোমিটার পথ। এতে অর্থ ও সময় দুই-ই নষ্ট হচ্ছে। কেউ কেউ সময় বাঁচাতে খরার সময় হাটুপানি নদী পার হন আবার নদীতে পানি থাকলে নৌকার মাধ্যমে পার হন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুন উর রশিদ পাঠকপাড়া ও কুয়ারপুর সংযোগ এলাকার মুচিরঘাটে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। কিন্তু ২০১৭ সালের স্মরণীয় ভয়াবহ বন্যার পানির তোড়ে ভেসে যায় সাঁকোটি। বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ চৌধুরী বিপ্লবের চেহারা শুধু ভোটের সময় দেখা গেছিল। তারপর থেকে আর কোন খোঁজখবর নেই তার। একাধিকবার ইউপি চেয়ারম্যানকে বলেও কোন লাভ হয়নি। সরকারিভাবে একটি সেতু নির্মাণ করলে ৯ গ্রামবাসীর কষ্ট লাঘব হবে।

এদিকে ব্রিজ নির্মাণের খবরে শিবনগর কুয়ারপুর গ্রামের পলিন সরকার,শেফালী বেগম এবং পাঠক পাড়া গ্রামের সুজয়, মনরঞ্জন দাস,মন্টু মিঞা জানান, যাক দির্ঘ দিন পর অবশেষে সরকারের লোকজনের আমাদের কষ্টের কথা মাথায় এসেছে তাই ব্রিজ নির্মাণ করবে। কিন্তু নির্মাণ কাজ না শুরু হওয়া পর্যন্ত আমাদের ভরসা ওই বাশের সাঁকোই। তবে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণ হলে ভালই হবে।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. মামুনুর রশিদ চৌধুরী বিপ্লব বলেন, নতুন ব্রিজ নির্মাণের প্রতিবেদন গেছে অচিরেই ব্রিজ নির্মাণের টেন্ডার হবে এবং ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণ হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. রায়হানুল ইসলাম বলেন,ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণের টেন্ডার হয়েছে এবং ইতোমধ্যেই ব্রিজ নির্মাণে ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই ব্রিজটি নির্মাণ শুরু হবে। 


পুরোনো সংবাদ

দিনাজপুর 713165510266967482

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item