তিস্তার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শণ করলেন পাউবোর মহাপরিচালক


নির্ণয়,নীলফামারী॥
নীলফামারীর তিস্তার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শণ করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ। রবিবার(২৪ অক্টোবর/২০২১) সকাল থেকে তিনি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। শেষে ডালিয়াস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউস অবসরের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। 

এসময় তিনি তিস্তার ডেলটা বাস্তবায় হলে বন্যায় ক্ষতির পরিমান কমবে উল্লেখ করে বরেন, আট হাজার ২১০ কোটি টাকার ব্যয়ে তিস্তার মহাপরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। ওই টাকার মধ্যে সরকারি একটা অংশ আছে, বাকিটা প্রকল্প সাহাহ্য হিসাবে বন্ধুপ্রতিম যেসমস্ত দাতা সংস্থা আছে তাদের কাছ থেকে আমরা পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যদি আমরা পেয়েযাই ভালো, না হলে ইনশাআল্লাহ আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করবো। 

তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে এ অঞ্চলের ছোট ছোট নদীগুলো খনন করা হয়েছে। এই নদীগুলোর পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ড্রেনেজ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে গত বছরসহ পরপর পাঁচটি বন্যা আঘাত হানলেও এ অঞ্চলে বন্যার পানির উচ্চতা বাড়তে পারেনি। 

তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে বন্যার ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে নিতে পেরেছেন। আমাদের চেষ্টার সাথে উপযোগি পরিবশ লাগে, রির্সোস লাগে। আমাদের কাজের পরিবেশটা ফ্লাড হেলদী না। তার পরেও কাজ করে প্রাথমিক এই ধাক্কাটা সামাল দিতে পেরেছেন তারা। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়সহ আমি ঢাকা থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়ে দিক নির্দেশনা দিয়েছি। আজকে মাঠ পর্যায়ে এসেছি। ক্ষতির পরিমান নিরূপন করে ক্ষতিগ্রস্ত এসব বাধ পুরোনো নকসা অনুযায়ী শিগিরই মেরামেত করা হবে। 

পরিদর্শনকালে তাঁরসাথে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ কে এম সামছুল আলম, নকসা ও গবেষনা বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. এনায়েত উল্লাহ, উত্তরাঞ্চল রংপুরের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ, ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, চলতি বন্যায় তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাসসহ কমান্ড এলাকার দশটি স্থানে ৯৮০ মিটার বাধ ধ্বসে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমান ১৫ কোটি টাকা। 

উজানের আকস্মিক পাহিাড়ী ঢলে গত বুধবার (২০ অক্টোবর) সকাল ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি চাপে খুলে যায় ব্যারাজের ফ্লাডবাইপাস। এতে করে ওই ফ্লাডবাইপাসের ৩০০ মিটারসহ ব্যারাজের উজান ও ভাটির বিভিন্ন স্থানে বাধ বিধ্বস্ত হয় ৯৮০ মিটার। এর মধ্যে ব্যারাজের উজানে কালিগঞ্জ গ্রোয়েন বাধের ১০০ মিটার, ছোটখাতা টি-গ্রোয়েন বাধের ১০০ মিটার, তিস্তাবাজার স্পার বাধের ৫০ মিটার, ভাটিতে ভেন্ডাবাড়ী স্পার বাধের ৫০ মিটার, ভাবনচুন স্পার বাধের ৫০ মিটার, তিস্তা ডানতীর বাধ ৮০ মিটার, ডাউয়াবাড়ী তিস্তার ডানতীর বাধ ১০০ মিটার, শৌলমারী বাধের ৫০ মিটার, বালাপাড়া কৈমারী ১০০ মিটার রয়েছে। যার আর্থিক ক্ষতির পরিমান ১৫ কোটি টাকা।

উত্তরাঞ্চল রংপুরের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ জানান, এবারের বন্যায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৫ কোটি টাকা ও কৃষি এবং অন্যান্য স্থাপনাসহ সর্বমোট ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। গত বুধবারের আকস্মিক ওই বন্যা অতীতের সকল রেকড ভঙ্গ করেছে। #


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 1974794061275670961

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item