প্রধানমন্ত্রীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নীলফামারীতে দুঃস্থরা পেলেন বিশেষ সহযোগিতা


নির্ণয়,নীলফামারী
-জাতিসংঘের এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার ও মুকুটমনি সম্মানে ভ‚ষিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও ৭৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নীলফামারীতে দুঃস্থরা পেলেন বিশেষ সহযোগিতা। এসব সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে হুইল চেয়ার, রিক্সাভ্যান, সেলাইমেশিন, বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন খেলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার সামগ্রী। 

সোমবার(২৭ সেপ্টেম্বর/২০২১) বিকালে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব সামগ্রী বিতরণ করেন প্রধান অতিথি নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর। সংসদ সদসস্যের ব্যক্তিগত তহবিল এবং এডিপির অর্থায়নে ওই বিতরণ অনুষ্ঠোনের আয়োজন করে সদর উপজেলা পরিষদ। 

এসময় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুবিবুর রহমান আজীবন সংগ্রাম করেছিলেন বাঙালী জাতি জন্য। তাঁর রাজনীতির স্বপ্ন ছিল গরীর দুখি মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। সে লক্ষ্যে তিনি আজীন সংগ্রাম করেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে বাঙালী জাতি স্বাধীন ভূখন্ড বাংলাদেশ পেয়েছে। এই বাংলাদেশে আমাদের অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে আমাদের সে স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছিল। সে ইতিহাস আপনাদের জানা আছে। পুরো বাঙালী জাতি একটা হতাশার মধ্যে ছিল। বাংলাদেশ পেছন দিকে হাটছিল। যে পাকিস্থানকে আমরা বর্জণ করেছিলাম, যে পাকিস্থানী শাসন থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা হয়েছিল, সে পাকিস্থানকে আবারো বাংলাদেশে ফেরানোর একটা চেষ্টা চলছিল। তিনি বলেন, বিএনপির নেতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন সেটা আমরা স্বীকার করি। কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা কী পারেন রাজাকার আলবদরদের সঙ্হে নিয়ে চলতে ? তাঁর দলের দিকে তাকান, তাঁর মন্ত্রীরা কারা ছিলেন, প্রত্যেকটা লোক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিলেন। তাহলে কীভাবে আমরা তাঁকে মুক্তিযোদ্ধা বলি। এরপরে ওনার স্ত্রী খালেদা জিয়া যখন ক্ষতায় আসলেন তিনিও জামায়াতকে সঙ্গে নিলেন। যে জামায়াতে ইসলাম ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরুদ্ধেই শুধু ছিল না, তারা আমাদের বাঙালীদের হত্যা করেছে, আমাদের মা বোনদের ধর্ষণ করেছে বাড়িতে আগুন দিয়েছে লটিতরাজ করেছে তারা হলো বিএনপির ক্ষমতার অংশীদার। 

এসময় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশিষ অতিথির বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের পরিচালক আসাদুজ্জামান,  জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী, স্থানীয় সরকার ভিাগের উপ-পরিচালক আব্দুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার, সদর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী নুর উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাফিজুর রশীদ মঞ্জু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দীপক চক্রবর্তী, শান্তনা চক্রবর্তী প্রমুখ।

সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ জানান, প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এডিপি এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের দুঃস্থ প্রতিবন্ধীদের জন্য হুইল চেয়ার ৪৬টি, শিক্ষার্থীদের জন্য বাইসাইকেল ৩৩টি, কর্মসংস্থানের জন্য রিক্সা ১৪টি, ভ্যান ১৮, সেলাই মেশিন ৪০টি, বিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্য নলকূপ ২০টি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফ্যান ৫৪টি, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য সাদাছড়ি ৩৫টি, ক্রীড়া চর্চার জন্য ফুটবল ৩৬০টি, ভলিবল ৫০, ক্রিকেট ব্যাট ৪টি, ব্যাটমিন্টন ১৬ সেট, সাংস্কৃতিক চর্চায় হারমোনিয়াম ৮টি, তবলা ৮ জোরা বিতরণ করা হয়েছে


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 6237324306347235783

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item