চিলাহাটিতে “ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত


নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটিতে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
বুধবার ২৯ সেপ্টেম্বর)চিলাহাটি ডাকবাংলো হলরুমে উদয়াঙ্কুর সেবা সংস্থা ইউএসএস ও একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় চিলাহাটি প্রেসক্লাব ও যুব সংগঠনের আয়োজনে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। 
এর আগে ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি, কেতকিবাড়ি, গোমনাতি ও বামুনীয়া ইউনিয়নে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের বর্তমান পরিস্থিতি জানতে চিলাহাটি প্রেসক্লাব ও যুব সংগঠনের সদস্যরা একটি জরিপ পরিচালনা করেন। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারকে আরো সক্রিয় করা এবং সেবার মানবৃদ্ধিতে জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করার মধ্য দিয়ে কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
চিলাহাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি জনাব তোজাম্মেল হোসেন মঞ্জুর সভাপতিত্বে, অবলোকন এর সম্পাদক ইফতেখারুল হক টিটুর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভোগডাবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একরামুল হক, কেতকিবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহুরুল হক প্রামানিক দিপু,বামুনীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান বুলেট, চিলাহাটি সরকারি কলেজের প্রভাষক জনাব কানু চন্দ্র ও জনাব দেলোয়ার হোসেন, এছাড়াও ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক তাহমিন হক ববি, ইউএসএস এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর নির্মল রায়।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। তারা জানান, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কথাটি প্রথম সামনে আসে ২০০৮ সালে। ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের নির্বাচনী ইশতেহারে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে, "২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে’ পরিণত হবে।“, যা পরবর্তীতে এক পরম আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন হয়ে দাঁড়ায়। কারণ যখন এই বিষয়টি সামনে আসে, তখন সারা বিশ্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি তথা আইসিটি এক নতুন বিপ্লবের সূচনা করে। কিন্তু তখনো বাংলাদেশ এই আইসিটি ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক পিছিয়ে ছিল। তাই এই পরিকল্পনাটির মূল লক্ষ্য ছিল, একটি উন্নত দেশ, সমৃদ্ধ ডিজিটাল সমাজ, ডিজিটাল যুগের জনগোষ্ঠী, রূপান্তরিত উৎপাদনব্যবস্থা, নতুন জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি - সর্বোপরি একটি জ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক দেশ গঠন করা । 
২০১০ সালের ১১ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয় থেকে এবং নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)’র প্রশাসক মিস হেলেন ক্লার্ক ভোলা জেলার চর কুকরিমুকরি ইউনিয়ন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদে একটি করে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) একযোগে উদ্বোধন করেন। ইউডিসি’র মূল লক্ষ্য হল, ইউনিয়ন পরিষদকে একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে পরিনত করা, যাতে এই সব প্রতিষ্ঠান ২০২১ সালের মধ্যে একটি তথ্য ও জ্ঞান-ভিত্তিক দেশ প্রতিষ্ঠায় যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি এই সব কেন্দ্র সরকারি-বেসরকারি তথ্য ও সেবাসমূহ জনগনের কাছাকাছি নিয়ে যেতে, প্রযুক্তি বিভেদ দূর করতে ও সকল নাগরিককে তথ্য প্রবাহের আধুনিক ব্যবস্থার সাথে যুক্ত করতে সুদুর প্রসারী ভূমিকা রাখতে পারে । 'জনগণের দোড়গোড়ায় সেবা’ এ ম্লোগানকে সামনে রেখে ইউডিসির যাত্রা শুরু হয়েছিল। বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ৫ হাজার ২৮৬টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার রয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5422596154165288797

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item