রহস্যজনক হত্যাকান্ড\ নীলফামারীতে নিজ বাড়ী থেকে গৃহকর্তার লাশ উদ্ধার


নির্ণয়,,নীলফামারী\
নীলফামারীতে নিজ বাড়ীতে রহস্যজনক হত্যার শিকার হয়েছেন হোসেন আলী যাদু (৫৫) নামের এক ব্যক্তি। আজ শনিবার(১০ জুলাই/২০২১) সকাল ১১টার দিকে জেলা শহরের নীলকুঞ্জ পাড়ার বাড়ী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত হোসেন আলী ওই এলাকার মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে।
এঘটনায় নিহতের স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫৫), মতিয়ার রহমান (২৭) ও রশিদুল ইসলাম (২৫) নামের দুই ছেলে এবং এক পুত্রবধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয় পুলিশ।
পরিবারের দাবি, গতকাল শুক্রবার(৯ জুলাই) গভীর রাতে কেউ বাড়ীতে প্রবেশ করে ঘরের বারান্দায় হোসেন আলীকে কুপিয়ে হত্যার পর রক্তাক্ত লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। এসময় পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে বিষয়টি টের পেয়ে প্রতিবেশীদের জানায় তারা।
প্রতিবেশিরা জানায়, রাতে তারা ওই বাড়িতে কোনো চিৎকার বা কান্নাকাটির শব্দ পাননি। ভোরে পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশীদের ডাকলে হত্যাকান্ডের ঘটনাটি জানাজানি হয়।
সদর থানা পুলিশ জানায়, আজ শনিবার ভোরে জরুরী সেবা ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। এরপর সুরহতাল প্রতিবেদন তৈরী করে বেলা ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। বাড়ীর প্রবেশ দ্বারে ঘরের বারান্দায় হোসেন আলীর বাম হাতের কনুইয়ে আঘাত পাওয়া যায়। এতে ব্যাপক রক্তক্ষণণের ফলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী সুফিয়া বেগম বলেন, প্রতিবেশী শাহিনুর আলমের কাছে আমাদের এ বাড়িটি সাড়ে নয় লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। ওই বাড়ী ছেড়ে আজ শনিবার ৫০০মিটার দূরে আরেক বাড়ীতে ওঠার কথা ছিল আমাদের। গতকাল শুক্রবার দুপুরের পর এ নিয়ে আমার স্বামীর সঙ্গে শাহিনুরের কথা কাটাকাটি হয়। এর পর রাতে আমার স্বামীকে কে বা কারা হত্যা করে ঘরের বারান্দায় ফেলে রেখে যায়। আমি ঘুম থেকে জেগে দেখি আমার বিছানায় আমার স্বামী নেই। পরে ঘর থেকে বের হয়ে বারান্দায় স্বামীকে পড়ে থাকতে দেখে ছেলেদের ডাকি। ছেলেরা প্রতিবেশীদের খবর দেয়।
সুফিয়া বেগমের ওই দাবি অস্বীকার করে বাড়ীর ক্রেতা শাহিনুর আলম বলেন, গতকাল শুক্রবার তার সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটির কোন ঘটনা ঘটেনি। সেটি হলে প্রতিবেশীরা অবশ্যই জানতেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী বলেন, গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে হোসেন আলীর ছোট ছেলে রশিদুল ইসলাম (২৫) আমাকে ঘটনাটি জানায়। এসময় এসে দেখি তাদের বাড়ীর প্রবেশ পথে ঘরের বারান্দায় হোসেন আলীর রক্তাত্ত লাশ পড়ে আছে। তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম এবং বড় ছেলে মতিয়ার রহমানকে কান্নারত অবস্থায় দেখেছি। শুক্রবার শাহিনুরের সঙ্গে কথা কাটাকাটির কোট ঘটনা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. আব্দুর রউপ বলেন, হত্যাকান্ডের ঘটনাটি রহস্যজনক। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে। পরিবারের সদস্যদের থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। #

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2748803270960719049

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item