ডিমলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের বিশেষ ভিজিএফের চাল কালোবাজার বিক্রির অভিযোগ


বিশেষ প্রতিনিধি॥
আসন্ন ঈদ উপলক্ষে সরকরের বরাদ্ধের বিশেষ ভিজিএফের চাল  রবিবার(১৮ জুলাই-২০২১) নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নে বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা স্লিপের মাধ্যমে প্রকাশ্যেই এই চাল কালোবাজারিদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। এতে এলাকার অসহায় পরিবারগুলো বঞ্চিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের ৫ হাজার ৪৮৮ পরিবারের জন্য ঈদ উপলক্ষ্যে বিশেষ ভিজিএফ বরাদ্দ দেয়া হয় ৫৪ দশমিক ৮৮ মেট্রিক টন। ইউপি চেয়ারম্যান খাদ্যগুদাম থেকে চাল উত্তোলন করেন ৪১ মেট্রিক টন। বাকী চালের কোন হদিস নেই। রবিবার সকালে চাল বিতরন শুরু করা হলে বস্তায় বস্তায় চাল কলোবাজারীদের নিকট স্লিপের মাধ্যমে বিক্রি করা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে হট্টোগোল শুরু হলে বিতরন বন্ধ করে দেয়া হয়। সাংবাদিকরা সরেজমিনে দেখতে পায় নিয়ম অনুযায়ী প্রতি কার্ডধারী ১০ কেজি করে চাল পাবে। কিন্তু সুটিবাড়ী ডালিয়া রাস্তায় গয়াবাড়ী গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে শাহিনুর  ইসলাম ভ্যানে ৩০ কেজি ওজনের ৮টি প্যাকেট বস্তা ও ২টি ৫০ কেজির প্যাকেট বস্তা নিয়ে যেতে দেখা যায়। প্রশ্নের জবাবে সে জানায় চালগুলো সে েিন নিয়েছে।। সরকারীভাবে প্রতিটি উপকারভোগী কে ১০ কেজি করে চাল বিতরনের নিয়ম থাকলেও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের সরকারী প্যাকেটজাতকৃত বস্তা বিতরন করা হচ্ছে।
গয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হক কালোবাজারে চাল বিক্রি করেননি দাবি করে সাংবাদিকদের বলেন, যারা ১০ কেজির স্লিপ পেয়েছে তারাই এই চাল  বিক্রি করে দিচ্ছে। আলম নামে এক ব্যাক্তিকে ৫ টি স্লিপের ৫০ কেজি চাল একক ভাবে বিতরন করতেও দেখা যায় ইউপি চেয়ারম্যানকে।
গয়াবাড়ী ইউনিয়নের ৫ হাজার ৪৮৮ কার্ডের জন্য ভিজিএফ বরাদ্দ দেয়া হয় ৫৪ দশমিক ৮৮ মেট্রিক টন। কিন্তু খাদ্যগুদাম থেকে চাল উত্তোলন করা হয় ৪১ মেট্রিক টন। বাকী ১৩. ৮৮মেট্রিক চাল আপনি কালোবাজারে বিক্রি করেছেন এমন অভিযোগের কথা জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন খাদ্য গুদামে চাল সংকটের কারনে ওই চাল উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি।
ডিমলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মেজবাহুর রহমান বলেন, চাল বিতরনের কোন অনিয়ম করলে তার দায় গয়াবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যানকে নিতে হবে। তিনি আরও বলেন সকালে চাল বিতরনের সময় অনিয়মের অভিযোগে দুপুরের পর থেকে গয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান চাল বিতরন বন্ধ করে মোবাইল অফ করে রেখেছে। তাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছেনা।
এদিকে এলাকাবাসী জানায়  ইউপি চেয়ারম্যান ডিমলা উপজেলার এক প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় আশ্রয় নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।  
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বলেন বিষয়টি তদন্ত করার জন্য পিআইওকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তার রির্পোট পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।#

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 9203078484073332280

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item