সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর শত শত ভাতাভোগী ভাতা বঞ্চিত


মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় করোনাকালিন সময়ে বেকার হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারীভাবে ভিজিডি,ভিজিএফ, জিআর এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সরকারী সহায়তা অব্যাহত রেখেছে সরকার। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলা সমসাজসেবা দপ্তরের অনিয়মের কারনে শতাধিক ভাতাভোগী ভাতাবঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা নীলফামারী জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়ে কোন ফল না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে।

সরেজমিন অনুসন্ধান এবং উপজেলা সমাজসেবা অফিস সুত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বয়স্ক,বিধবা, প্রতিবন্ধি স্বামী পরিত্যাক্তা এবং অন্যন্যভাতাভোগীসহ মোট ১৭ হাজার ১৯০ জন ভাতাভোগী রয়েছে। সরকার বিভিন্ন অনিয়মের কারনে  ভাতাভোগীদের কাছে স্ব স্ব ভাতা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার থেকে সুবিধাভোগী (জিটুপি) প্রকল্পের আওতায় মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা পৌঁছে দেওয়ার ২০২০-২১ অর্থবছরে নগদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। সে অনুযায়ী উপজেলা সমাজসেবা অফিস ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত নয় মাসের ভাতা সরাসরি সুবিধাভোগীদের মাঝে পৌঁছে দৌয়ার জন্য তাঁদের সব তথ্য এম আই এস ডাটাবেইজে এন্টি করা হয়। কিন্তু উপজেলা সমাজসেবা অফিস সুবিধাভোগীদের সঠিক মোবাইল নম্বর যাচাই না করে ডাটা এন্ট্রি করায় ভাতাভোগীদের ভাতার টাকা তাঁদের মোবাইলে না এসে রহস্যজনকভাবে অন্য নম্বরে চলে যায়।  

 মাগুড়া ইউনিয়নের পারেরহাট গ্রামের ভাতাভোগী  ফুলতি রাণী (৭০) জানান, আমি আমার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আইয়ুব আলীর মাধ্যমে  অফিসে গিয়ে   আমার ব্যবহৃত ০১৭৭৪৭০২২৩২ নম্বর  (নগদ) একাউন্ট সংযুক্ত মোবাইল নম্বর দেই । কিন্তু আমার ভাতার টাকা আমার মোবাইল নম্বরে না আসায় আমি অফিসে গিয়ে জানতে পাই  টাকা এই ০১৭৫১৩৮৮৮০৭ নম্বরে চলে গেছে। আমার ভাতা বই নম্বর ৯৩৩৬।  ফুলতি রাণীর মত একই অভিযোগ করেন ওই ওয়ার্ডের আরও ২৭ জন সুবধিাভোগী।
নিতাই ইউনিয়নের  ডাংগাপাড়া গ্রামের বয়স্ক ভাতাপ্রাপ্ত  মকবুল হোসেন  বই নম্বর ৫০৮৩ জানান, আমি অফিসে নিজেই আমার মোবাইল নম্বর দিয়েছি টাকা না পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করলে তিনিও এর কোন সুরাহা দিতে পারেননি।  একই ইউনিয়নের পানিয়াল পুকুর খোলাহাটি গ্রামের মেরাজুল ইসলাম বলেন, অন্যদের মত আমার টাকাও ভুল নম্বরে গেছে তাই টাকা উদ্ধারের জন্য আমি নীলফামারী জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এরকম হাজার হাজার ভাতাভোগী ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপনের পাশাপাশি পবিত্র ঈদুল আযহার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংখা করছে।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ মোঃ আবুল কালাম বারী পাইলট , ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ )রবিউল ইসলাম বাবু বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর শত শত ভাতাভোগী সমাজসেবা অফিসের ভুলে ভাতা না পেয়ে আমাদের অফিসে এসে ভিড় করছে।  ঈদের আগে বিষয়টি সুরাহা না হলে ভাতাভোগীদের ঈদ আনন্দ ¤øান হবে।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যেহুতু সরকার থেকে সুবিধাভোগী(জিটুপি) প্রকল্পের মাধ্যমে এই প্রথম মোবাইলের মাধ্যমে ভাতাভোগীদের টাকা দেওয়া হচ্ছে সেহুতু  অফিসের ভুলে হোক কিংবা অন্য কোন কারনে হোক একটু সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি লিখিত ভাবে উর্দ্ধতন কর্তপক্ষকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম জানান, যেহুতু প্রগামটি নতুন সে কারনে এশটিু ভুল ত্রটি হতে পারে এ বিষয়ে আমি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার সাথে পরামর্শ করে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করব।
এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরীর বক্তব্য জানার জন্য মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনি মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দেননি।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4396315739837214004

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item