ডিমলায় গৃহহীন পরিবারদের নির্মানাধীন ঘরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে
জাহাঙ্গীর রেজা, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ ”আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার” মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে নীলফামারীর ডিমলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে ১৮৫টি পরিবারের জন্য সরকারি খাস জমিতে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে ঘর নির্মাণ কাজ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায়ের প্রতিদিনের সার্বিক তদারকিতে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে গৃহহীনদের জন্য বরাদ্দকৃত এসব ঘর নির্মাণ কাজ।
মঙ্গলবার সরেজমিনে ঘর নির্মান এলাকায় গেলে সুবিধাভোগীসহ এলাকাবাসীরা বর্তমান সরকারের প্রশংসা করেন। এ সময় তারা বলেন, আমাদের নিজের জমি ও ঘরবাড়ি নাই, মানুষের জমিতে কোনরকম আশ্রয় নিয়ে খরকুটো দিয়ে পাখিরমত বাসা বেধে বসবাস করেছিলাম, জীবনে কখনো ভাবিনি পাকা ঘরে থাকবো। আমরা জীবনে যা কল্পনাও করিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আমাদের জন্য তা করেছে। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাই এবং তারজন্য দোয়া করি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় গৃহহীন মানুষের কথা চিন্তা করে তাদের পুর্নবাসনের জন্য যে ঘর বরাদ্দ দিয়েছেন সেই কাজগুলো যেন সঠিক নিয়মে এবং সঠিক সময়ে হয় সেজন্য আমার দায়িত্ব অনুযায়ী নিয়মিত প্রতিদিন মনিটরিং করছি।
তিনি আরো বলেন, আমার পাশাপাশি নির্মাধীন কাজের গুনগত মান বজায় রাখতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান ও ত্রাণ শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম নিয়মিত তদারকি ও দেখভাল করছেন।
উল্লেখ্য গত ৯ ডিসেম্বর ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের বন্দর খড়িবাড়ী গ্রামে ”বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিবাস” নামে উপজেলার ১৮৫ পরিবারের আধাপাকা ঘরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার।
আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রথম পর্যায়ে উপজেলার ১৮৫টি পরিবারকে ৩ কোটি ২৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে সরকারী খাস জমিতে আধাপাকা ঘর নির্মান করে দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ১লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ঘর।