কুড়িগ্রামে শাক-সবজি চাষে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা


হাফিজুর রহমান হৃদয়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কয়েকদফা বন্যা আর ভাড়র বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কৃষকদের। এর মাঝে আবারও শুরু হয় দমকা হাওয়া আর ভাড়র বৃষ্টি। শাক-সবজির বীজ রোপণের পরপরই ব্যাপক বৃষ্টিপাতের ফলে অধিকাংশ ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতির মুখে পড়ে হতাশ করে তুলেছিলো তাদের। আর তাই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শাক-সবজি চাষ করে ঘুড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তারা। নতুন করে জমি তৈরি করে বেগুন, ঢেঁড়স, মুলা, লাউ, শসা, লাল শাক, নাপা শাক, হাপা শাক, পালং শাকসহ বিভিন্ন জাতের শাক-সবজির বীজ রোপণ করেছেন এবং ফলনও ভালো পাচ্ছেন। এসব শাক-সবজি উঠানোর পর আলু রোপণ করবেন বলে জানান কৃষকরা। শীতের শুরুতেই শাকসবজির দাম ভালো হওয়ায় এ চাষাবাদে বেশ লাভবান হচ্ছেন  তারা। কৃষকরা বলছেন আমন চাষ এবং সবজি চাষে কয়েকবার ক্ষতির মুখে পড়লেও সবজির দাম ভালো পাওয়ায় এখন বেশ খুশি। 

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অফিস জানায়, জেলায় এবার শাক সবজির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৫ শ হেক্টর জমিতে। এখনও বিভিন্ন শাক-সবিজর আবাদ চলমান রয়েছে। 

জেলা সদরের কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের কৃষক লাইজু জানান, কিছুদিন আগে ২ একর জমিতে মুলা রোপন করেছেন তা বৃষ্টির পানিতে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। পরে আবারও লাগিয়েছেন। কৃষি শ্রমিকরা ক্ষেত পরিচর্য়া করছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। এগুলো বিক্রি করে পরবর্তীতে আলু লাগাবেন তিনি।

নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের পীর সাহেবটারীর দেলোয়ার হোসেন জানায়, আড়াই বিঘা জমি মৌসুম প্রতি ৬ মণ ধানে লিজ নিয়েছেন তিনি। এবারের বন্যায় দেড় বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়েছে তার। তাই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার আড়াই বিঘা জমিতেই, লাউ, বেগুন, ধনে পাতা, মুলা, লাল শাক, শসা, পটল, বাঁধা কপি লাগিয়েছেন তিনি। এখন লাউ বিক্রি শুরু করেছেন। প্রতিটি লাউ বিক্রি করছেন ৪০ থেকে ৫০টাকা পর্যন্ত। বেশ লাভের মুখ দেখছেন তিনি। 

কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, তিনিও এক বিঘা জমি ৬ মণ ধানে লিজ নিয়ে লাউ, লাউশাক, মুলা, ধনেপাতা চাষ করছেন। তবে এর আগে একবার এসব শাক-সবজি বন্যা ও বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়েছে। আবারও চাষাবাদ করছেন তিনি। 

অপরদিকে কৃষকদের অভিযোগ, কয়েকবার বন্যা এবং ভাড়ি বৃষ্টিপাতে ফসলের ক্ষতি হলেও কৃষি প্রণোদনা কিংবা কোনা প্রকার সরকারি সহযোগিতা পাচ্ছেন না তারা। এমনকী বি.এসরাও এসে দেখে যান না ও পরামর্শ দেন না কখনও। 

কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সামছুদ্দিন মিয়া জানান, কুড়িগ্রামে বিভিন্ন শাক সবজির রোপণ এখনও চলমান রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে বাজারে যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যাবে। আর কৃষকদের আমরা পরামর্শসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। 


পুরোনো সংবাদ

কৃষিকথা 5801521295826968719

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item