কিশোরগঞ্জে টানা বর্ষনে ভেসে গেছে অর্ধকোটি টাকার মাছ ,উৎপাদন ঘাটতির আশংক্ষা


মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায়  গত কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষন ও পাহাড়ী ঢলে বন্যার পানিতে দেড় শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।  এতে মৎস্য চাষীদের ক্ষতি হয়েছে প্রায়  অর্ধকোটি  টাকা। ফলে এবার এ উপজেলায় মাছ উৎপাদনে  আগের তুলনায় বেশি ঘাটতির  আশংখা করছে মৎস্য বিভাগ। 

এদিকে মৎস্য বিভাগ বলছে , কিশোরগঞ্জ উপজেলায় মোট ৩৩১৭ টি পুকুর রয়েছে। মাছ চাষী রয়েছে ২৮৬৫ জন। এখন পর্যন্ত টানা বর্ষনে ৪৫ টি পুকুরের প্রায় ২০ মেট্রিকটন মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ২০ মেট্রিকটন মাছের মুল্য  ৩০ লাখ টাকা। মৎস্য অফিস আরো জানায়, এ উপজেলায় ৩৩১৭ টি পুকুর, খাল বিলসহ মোট মাছের উৎপাদন ৩৮০০ মেট্রিকটন। চাহিদার তুলনায় ঘাটছি ছিল দেড়হাজার মেট্রিকটন। এবার অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারনে  পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ায় ঘাটতি দ্বিগুন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

মাছ চাষীরা জানায়, হঠাৎ করে টানা তিনদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে রাতারাতি পুকুরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে পানির সাথে পুকুরের সম্পুন্ন মাছ পানিতে ভেসে গেছে। অনেক মাছ চাষী রক্ষা করার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছেন। 

কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ডিংডিংপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান, হঠাৎ পুকুরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে আমার পুকুরের প্রায় ৫ লাখ টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ফলে আমি আমার শেষ সম্বলটুকু হাড়িয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছি।  এরকম মাছ চাষী গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের মিটু মিয়া, বড়ভিটা  ইউনিয়নের জগদিস রায়, পুটিমারী ইউনিয়নের আজহারুল ইসলামসহ শতাধিক মাছ চাষীর পুকুরের ৩ থেকে ৭ লাখ পর্যন্ত টাকার মাছ রাতারাতি ভেসে গেছে। 

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কাশেম জানান, টানা বৃষ্টিপাতের কারনে  যে সমস্ত মৎস্য চাষীর মাছ পানিতে ভেসে যাওয়ার কারণে  আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে  আমরা ক্ষতিগ্রস্থ মাছ চাষীদের তালিকা তৈরী করে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5449275246611420508

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item