পীরগাছায় জাল দলিল দিয়ে দুটি বিদ্যালয় এক শিক্ষক জাতীয়করন

ফজলুর রহমান, পীরগাছা(রংপুর)প্রতিনিধি ঃ 
রংপুরের পীরগাছায় জাল দলিল দিয়ে প্রতিষ্ঠা করা দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ভূয়া সনদধারী এক শিক্ষকের চাকুরি একটি চক্রের মাধ্যমে জাতীয়করন করার অভিযোগ উঠেছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, উপজেলায় ২০০৮সালে কৈকুড়ি ছড়ারপাড় দীপান্তর ও ২০১০সালে ছাওলা দক্ষিণপাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার নামে শুধুমাত্র প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষা দিয়ে আসছে। ২০১৩ সালের ঘোষনা অনুযায়ী বিদ্যালয় জাতীয়করনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর কৈকুড়ি ছড়ারপাড় দীপান্তর ও ছাওলা দক্ষিণপাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকগণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সম্মত করে জাল দলিলসহ যাবতীয় কাগজপত্র নিজেদের ইচ্ছা মতো তৈরি করে উপজেলা যাছাই-বাছাই কমিটির নিকট উপস্থাপন করেন। কৈকুড়ি ছড়ারপাড় দীপান্তর এর দাখিলকৃত দলিল নং ৮৭৩৬ সম্পাদনের তারিখ৩ সেপ্টেম্বর-১৯৯৭ যাহা জাল দলিল ও ছাওলা দক্ষিণপাড়া এর দাখিলকৃত দলিল নং ৮৪৫ সম্পাদনের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারী-২০১০ যাহা হেবাবিল এওয়াজ বলে সুত্রে জানা যায়।
বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করন সংক্রান্ত উপজেলা ও জেলা যাছাই-বাছাই কমিটি অজ্ঞাত কারণে ভূয়া কাগজপত্র হওয়ার পরেও বিদ্যালয় দুটি জাতীয়করনের জন্য সংশ্লিষ্ঠ মন্ত্রণালয়ে প্রেরন করেন। এরপর বিদ্যালয় দুটি জাতীয়করন হয়।
বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করন সংক্রান্ত উপজেলা যাছাই-বাছাই কমিটি কর্তৃক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংক্রান্ত ছক ‘খ’ ফরম সুত্রে জানা যায় ছাওলা দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মাইদুল ইসলাম জন্মের প্রায় চার বছর পূর্বে ৩ জানুয়ারী ১৯৮৪ সালে চাকুরিতে যোগদান করেন। সহকারি শিক্ষক রাবেয়া বসরী একই কায়দায় তার জন্মের প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে ৫জানুয়ারী ১৯৮৫ সালে চাকুরিতে যোগদান করেন। সহকারি শিক্ষক রফিকুল ইসলাম দুলাল উচ্চ মাধ্যমিক ও ব্যাচেলর অব আর্টস এর ভূয়া সনদপত্র দিয়ে চাকুরি করে আসছেন। 
কৈকুড়ি ছড়ারপাড় দীপান্তর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর সভাপতি আব্দুল খালেক এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের কাগজপত্র সঠিক রয়েছে তবে অফিস তলব করলে কাগজ দেখানো হবে।
ছাওলা দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইদুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, যোগদানের তারিখ আমরা সংশোধন করেছি।
সহকারি শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার সনদপত্র সঠিক রয়েছে।
তৎকালিন সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার হরিশংকর সরকার এর সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) সেকেন্দার আলী এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, এরকম হয়ে থাকলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 687903339924783353

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item