সৈয়দপুরে প্রাইভেট কার থেকে ফেনসিডিল উদ্ধারের মামলায় পলাতক আসামী কার চালক গ্রেফতার, আদালতে স্বীকারোক্তি

তোফাজ্জল হোসেন লুতু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি :
 নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রাইভেট কারসহ ফেনসিডিল উদ্ধার ঘটনার মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া পলাতক আসামী প্রাইভেট কার চালক বিপ্লব (২৮) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নীলফামারী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে স্বীকারোক্তি দেয় সে। এতে হিলি থেকে ফেনসিডিল নিয়ে এসে সৈয়দপুরসহ আশপাশের এলাকায় বিক্রি ও এর সাথে জড়িত মামলার অন্যান্য আসামীদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করেছে। জবানবন্দি নেয়া শেষে আদালত আসামী বিপ্লবকে নীলফামারী কারাগারে পাঠিয়েছে।  সৈয়দপুর থানা সূত্রে এসব তথ্য মিলেছে।
পুলিশ জানায়, গত ২ জানুয়ারী শহরের সৈয়দপুর-পার্বতীপুর সড়কের কদমতলী-শাইল্যার মোড়ের মধ্যবর্তী এলাকার সড়কের পাশে একটি প্রাইভেট কার আটক করে পুলিশ। পরে ওই কারের ব্যাক ডালা থেকে ১ হাজার ৩৮৫ বোতল  ভারতীয় নিষিদ্ধ ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। ওই সময় কারে থাকা ফেনসিডিল বহনের সাথে জড়িত কলেজ ছাত্র সোহানুর রহমান সোহানকে (২৫) আটক করা হয়। এ ঘটনায় সৈয়দপুর থানায় মাদক আইনের নতুন ধারায় ৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় সোহানকে গ্রেফতার ও অপর ৪ জনকে পলাতক দেখানো হয়। এ মামলার পর পুলিশ পলাতক ৪ আসামীকে গ্রেফতার করতে তৎপরতা শুরু করে। গত মঙ্গলবার সকালে সোর্সের দেয়া খবরের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা  সৈয়দপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাপী কুমার রায় পলাতক আসামী প্রাইভেট কার চালক বিপ্লবকে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের সামনে থেকে ঘটনার ১৩ দিন পর  গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বাড়ি কামারপুকুর ইউনিয়নের ব্রহ্মোত্তর কোরানীপাড়ায়। সে ওই এলাকার মহাফেল উদ্দিনের পুত্র।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহজাহান পাশা জানান, এ নিয়ে দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করা হলো। বাকি ৩ জনকে গ্রেফতারে সম্ভাব্য সকল স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। আসামীরা স্থান বদল করায় তাদের ধরতে  বিলম্ব হচ্ছে। তবে খুব শিগগির ওইসব আসামীদের ধরা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।