পুলিশ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে নীলফামারীতে ওপেন হাউজ ডে ও শীত বস্ত্র বিতরণ

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী॥ চলছে পুলিশ সেবা সপ্তাহ। গতকাল সোমবার(২৬ জানুয়ারী) এই সেবার দ্বিতীয় দিন সোমবার বিকালে পৃথক ভাবে নীলফামারীর ছয় থানায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ওপেন হাউজডে ও অসহায় বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরন। নীলফামারী সদর থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে সদর থানার ওসি মমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মুহাঃ আশরাফ হোসেন।

নীলফামারী থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) নাজমুল হুদার সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির আহবায়ক পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রুহুল আমীন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্য সচিব প্রকৌঃ এস.এম সফিকুল আলম ডাবলু, জেলা জজকোটের পিপি এ্যাড. অক্ষয় কুমার রায়, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা, কমিউিিনটি পুলিশিং সদস্য দৈনিক জনকন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার তাহমিন হক ববী, জেলা ইউনিয়ন পরিষদ ফোরামের সভাপতি ও ইটাখোলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাফিজুর রশিদ মঞ্জু, লক্ষ্মীচাপ ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, জেলা যুবমহিলা লীগের সাধারণ স¤পাদক সান্তনা চক্রবর্তি, জাতীয় ঈমাম সমিতির জেলা সভাপতি মওলানা গোলাম মোস্তফা। এসময় জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা, সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, সদর উপজেলা কমিউনিটি পুলিশের সদস্যসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 
পুলিশ সুপার মাদক,সন্ত্রাস ও দুর্নীতি মুক্ত করতে প্রতিটি গ্রাম থেকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান সকলকে। তিনি বলেন, পুলিশ শুধু একটি বাহিনী নয়, একটি জনবান্ধন এবং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে প্রতিষ্ঠানটি এখন অনেক বেশি উন্নত এবং শক্তিশালী। যার লক্ষ্য হচ্ছে সেবা প্রদান করা। পুলিশকে সহযোগীতা করে সেবা গ্রহণ করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে মন্তব্য করে এসপি বলেন, পুলিশের অবস্থান অন্যায় অপরাধের বিরুদ্ধে। কখোনো ন্যায়ের বিপক্ষে কিংবা নিরাপরাধ মানুষের বিপক্ষে নয়।
পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, আমরা বিপদে পড়লে দারস্থ হই পুলিশের কাছে। সমাজের বিশৃঙ্খলা হলে দারস্থ হই পুলিশের কাছে। বলা যায় পুলিশ আমাদের সাথে মিশে আছে। আইন প্রয়োগই শুধু নয় পুলিশ এখন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে লাভ করেছে যার সুফলও কিন্তু আমরা পাচ্ছি। এজন্য পুলিশকে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করতে হবে।
উন্মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে মতামত ব্যক্ত করে দাবি তুলে বর্তমানে প্রতিটি ইউনিয়নে ৯ জন করে পুরুষ গ্রাম পুলিশ রয়েছে। কিন্তু বিচার সালিশে অনেক ঘটনায় নারী নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। ফলে সরকারের পক্ষে এবার ইউনিয়নগুলোতে মহিলা গ্রাম পুলিশ নিয়োগের দাবি করা হয়।  জেলার ডোমার,ডিমলা,জলঢাকা,কিশোরীগঞ্জ ও সৈয়দপুর থানায় পৃথক ভাবে এই কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়। # 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 487530340566948318

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item