কিশোরীগঞ্জে দুস্থ্য নারীদের সঞ্চয়ের টাকা বিতরন নিয়ে তুঘলঘী কান্ড

শামীম হোসেন বাবু,কিশোরীগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি॥ নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় গরীব অসহায় ও দুস্থ্য নারীদের ভিজিডির সঞ্চয়ের টাকা বিতরণ নিয়ে চলছে তুঘলঘী কান্ড। ভিজিডি সুবিধাভোগীদের সঞ্চয়ের টাকা এনজিও কর্মীরা ব্যাংকে জমা না করে আত্মসাৎ করার কারনে এখনও ৪টি ইউনিয়নের ১ হাজার ৪৬১ জন দুস্থ্য নারীর সঞ্চয়ের প্রায় ৩০ লাখ টাকা ফেরত দিতে পারেনি উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিস সুত্রে ও সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ২০১৭-১৮ বছরের চক্রে ভিজিডি কার্ডের আওতায় ৩হাজার ৪৪৭জন দুস্থ্য অসহায় ও দরিদ্র নারী সুবিধা ভোগ করে। এসব নারীরা ২৪ মাস কার্ডের সুবিধা ভোগের সময় প্রতি মাস ২৪০ টাকা করে আলোর পথে ও প্রতীক প্রগতি সংঘ নামে দুটি ভুই ফোঁড় এনজিওর মাধ্যমে সঞ্চয়ের টাকা ব্যাংকে জমা করে। কিন্তু এনজিও কর্মকর্তা ও কর্মীরা ব্যাংকে আংশিক টাকা জমা করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করে।
এরমধ্যে প্রতীক প্রগতি সংঘের পরিচালক বীরেন চন্দ্র বড়ভিটা, পুটিমারী ও রণচন্ডি ইউনিয়নের দুস্থ্য নারীদের সঞ্চয়ের ৭লাখ ১৩হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের আলোর পথে এনজিও কর্মী সেলিনা পারভীন গরীব দু:স্থ্য নারীদের সঞ্চয়ের ৬লাখ ৭৯হাজার টাকা উত্তোলন করে ব্যাংকে জমা না করে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করে।

আলোর পথে এনজিওর কনসালটেন্ট সুলতান মাহমুদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আলোর পথে এনজিওর মাধ্যমে ৬ টি ইউনিয়নের সুবিধাভোগীদের টাকা ব্যাংকে জমা করার চুক্তি হয়েছিল। এর মধ্যে শুধুমাত্র কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ২৪ হাজার ৬শ টাকা এবং গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ৪ লাখ টাকা ওই দুই ইউনিয়নের কমী ব্যাংকে জমা না করে আত্মসাৎ করেছে।
প্রতীক প্রগতির পরিচালক বিরেন্দ্রনাথ রায়ের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তাঁর ব্যাবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চাঁদখানা ইউনিয়নের দুঃস্থ্য নারী রেহানা বেগম যার সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ১০৫, মোসলেমা তাবাচ্ছুম হিসাব নম্বর ৬০, শেফালি রানী রায় হিসাব নম্বর ২৬৬ তারা সকলেই বলেন, লভ্যাংশতো দুরের কথা মুল টাকা থেকেই আমাদের ২ শ থেকে ৩শ টাকা কম দেয়া হয়েছে।
কিশোরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুবিধাভোগী মনোয়ারা বেগম বলেন, আমি আমার সঞ্চয়ের টাকা ফেরৎ না পেয়ে টাকা পাওয়ার জন্য মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
গাড়্রাগ্রাম ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত এনজিও কর্মী সেলিনা পারভিন সুবিধাভোগীদের সঞ্চয়ের ৪ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে তাঁর নিজের কাছে রাখার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি একাই না অন্য ইউনিয়নের কর্মীরাও সুবিধাভোগীদের সঞ্চয়ের টাকা নিজের কাছে রেখেছে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাবিকুন্নাহারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, রণচন্ডি,পুটিমারী ও বড়ভিটা ইউনিয়নের সুবিধাভোগীদের সঞ্চয়ের ৭ লাখ ১৩ হাজার টাকা নিয়ে প্রতীক প্রগতী সংঘের পরিচালক বিরেন্দ্রনাথ পালিয়ে গিয়েছিল অনেক কষ্টে তা উদ্ধার করেছিল। বর্তমানে তাঁর ফোন বন্ধ থাকায় ওই তিন ইউনিয়নের সুবিধাভোগীদের সঞ্চয়ের সঠিক হিসাব না পাওয়ায় টাকা বিতরন সম্ভব হচ্ছেনা। গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ৪ লাখ টাকা উদ্ধারের চেষ্ঠা চলছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি , তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2317428983142572412

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item