ইভান্সের সেঞ্চুরির ম্যাচে জয় পেল রাজশাহী


অনলাইন ডেস্ক



মহাকাব্যিক এক ইনিংস খেললেন লরি ইভানস। তুলে নিলেন চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসরের প্রথম সেঞ্চুরি। অনবদ্য ফিফটি হাঁকালেন ডেসকাট। দুজনের ব্যাটে ১৭৭ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়েছিল রাজশাহী। জবাবে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। ফলে ৩৮ রানে জয় পায় মিরাজের রাজশাহী কিংস।
রাজশাহী কিংসের হয়ে আজ মিরপুরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে ইভান্স ৬২ বলে ১০৪ রানের ইনিংসটি খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। ডেসকাট অপরাজিত ছিলেন ৪১ বলে ৫৯ রান নিয়ে। দুই চার এবং তিন ছয়ে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।

 এর আগে আজ সোমবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে  কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নামে রাজশাহী। 
ব্যাট করতে নামা রাজশাহী মাত্র ২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায়। এরপর লরি ইভান্সের সেঞ্চুরি এবং রায়ান টেন ডেসকাটের হাফ সেঞ্চুরিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায়।
প্রথমে মাত্র ৫ রান করে মেহেদীর বলে বোল্ড হন শাহরিয়ার নাফিস।  এরপর কিংসের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ রানের খাতা না খুলেই লিয়াম ডসনের বলে স্লিপে ইমরুল কায়েসের হাতে ধরা পড়েন।  মার্শাল আইয়ুব মাত্র ২ রান করে ডসনের বলে বোল্ড হলে রাজশাহী বিপদে পড়ে যায়।
এরপরই শুরু হয় লরি ইভান্স ও রায়ান টেন ডেসকাটের ২২ গজের ঝড়।  এই দুই ব্যাটসম্যান রাজশাহীর বোলারদের পাত্তা না দিয়েই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ১৪৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন।
কুমিল্লার পক্ষে ডসন দুইটি এবং মেহেদী একটি উইকেট লাভ করেন।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা কুমিল্লার দুই ওপেনিং তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয় সাবধানী সূচনা করেন। দলীয় ৩৭ রানের মাথায় সোজা ব্যাটে শট খেলতে গিয়ে তামিম ২৫ রান করে কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে লং অনে মার্শাল আইয়ুবের ক্যাচে পরিণত হন।
দ্বিতীয় উইকেটে বিজয় ও শামসুর ৩০ রান যোগ করার পর বল হাতে উইকেট তুলে নেন ডেসকাট। তার বলে ২৬ রান করা বিজয় বড় শট খেলার পর ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকা নাফিসের হাতে ধরা পড়েন। তার খানিকপর ১৫ রান করে শামসুর লং অনে বদলি ফিল্ডার প্রসন্নর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আরাফাত সানির বলে।
ডেসকাটের করা ১২তম ওভারের শেষ বলে জিয়াউর রহমান ধরা পড়েন ডিপ কভারে জংকারের হাতে। কুমিল্লার রান তখন ৪ উইকেটে ৯৩। 
ক্রিজে নেমেই ১ চার ও ১ ছক্কা মেরে আগ্রাসী ইনিংস খেলার ইঙ্গিত দিলেও ১৫ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরত যান ইমরুল কায়েস।  কায়েস আহমেদের করা ওভারে সুইপ শট খেলার পর তিনি ডিপ স্কয়ার লেগে নাফিসের তালুবন্দি হন। ওই একই ওভারে রানের খাতা না খুলেই বিপদজনক থিসারা পেরেরা মিড উইকেটের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে গেলে মিরাজ তার ক্যাচ ধরে ফেলেন।
দলকে উদ্ধারে আফ্রিদি ক্রিজে এসে মারমুখো হওয়ার চেষ্টা করলেও কাটার মাস্টার মুস্তাফিজের বোলিংয়ের সামনে তিনি ছিলেন রীতিমতো অসহায়। পরে রাব্বির ওভারে মারতে গিয়ে আফ্রিদি ১৫ রান করে ডিপ মিড উইকেটে জংকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরতে বাধ্য হন।
এরপর ডসন ও সাইফুদ্দিনকে পরপর দুই বলে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান রাব্বি। হ্যাটট্রিক না পেলেও গোটা ম্যাচে তার অসাধারণ বোলিং দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে। মেহেদী হাসানের উইকেট নিয়ে কুমিল্লার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন মুস্তাফিজ ফলে ১৩৮ রানেই গুঁটিয়ে যায় কুমিল্লা।
এই জয়ের ফলে রাজশাহী কিংস ৭ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে রংপুর রাইডার্সকে পেছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে। সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্টে থাকা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স রানরেটে এগিয়ে থাকায় রয়েছে তৃতীয় স্থানে। 
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
রাজশাহী কিংস : ১৭৬/৩, ২০ ওভার (ইভান্স ১০৪*, ডসেট ৫৯*, ডসন ২/২০)।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ১৭৬/৩, ২০ ওভার (আনামুল ২৬, তামিম ২৫, রাব্বি ৪/১০)।

পুরোনো সংবাদ

খেলাধুলা 4971204290525178321

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item