৫৩ বছর ধরে কার্যক্রম নেই চিলাহাটি বন্দরে
https://www.obolokon24.com/2019/01/chilahati.html
এআই পলাশ-৫৩ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানির অন্যতম প্রবেশপথ চিলাহাটি স্থলবন্দরের কার্যক্রম। একই স্থানে স্থাপিত দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে প্রায় ১৬ বছর। চিলাহাটি থেকে ভারতের হলদিবাড়ি পর্যন্ত রেলপথ পুনঃস্থাপনের উদ্যোগটিও আলোর মুখ দেখেনি। গড়ে ওঠেনি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এ রেল সংযোগ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিলাহাটির ডাঙ্গাপাড়া থেকে ভারতের হলদিবাড়ি রেলওয়ে স্টেশনের দূরত্ব মাত্র ৩ কিলোমিটার। যে কারণে ১৯৫৩ সালে চিলাহাটিতে প্রথম একটি আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১৯৬০ সালে স্থলবন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়। তবে ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় চেকপোস্টটি চালু থাকলেও বন্ধ করে দেওয়া হয় স্থলবন্দরের সব কার্যক্রম। পরে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০২ সালে চেকপোস্টটির কার্যক্রমও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই স্থলবন্দরটি চালুর জন্য ২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ‘নীলফামারী স্তব্ধ’ কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসী। সেদিনের সেই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন সারা জেলার লাখো মানুষ। ১৫ মিনিটের জন্য থমকে গিয়েছিল পুরো জেলা। এরপর ২০১১ সালের ১৯ জুন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান চিলাহাটি সফর করে স্থলবন্দরের সম্ভাব্যতা যাচাই করে এক জনসভায় স্থলবন্দর চালুর ঘোষণা দেন। আন্তর্জাতিক চেকপোস্টটি কার্যকর করার ব্যাপারেও গুরুত্বারোপ করেন। এরপর ২০১৩ সালের আগস্টে চিলাহাটি স্থলবন্দরটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়। একই বছরের ৩ অক্টোবর এ বিষয়ে গেজেট নোটিফিকেশন জারি করা হয়। ওই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের স্থলবন্দরটি উদ্বোধন করার কথা ছিল। এ জন্য ২০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে চিলাহাটি রেলস্টেশন পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথের আধুনিকায়নও করা হয়। কিন্তু এরপর আর কোনো অগ্রগতি নেই।স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, কাগজে-কলমে দেশে বর্তমানে ২০টি স্থলবন্দর রয়েছে। তবে চালু রয়েছে এর অর্ধেকেরও কম। বেশিরভাগ স্থলবন্দরে ভারতের দিকে যোগাযোগ অবকাঠামো সুবিধা গড়ে না উঠায় সেগুলো পুরোদমে চালু করা যাচ্ছে না। সেদিক থেকে চিলাহাটি স্থলবন্দর অনেক বেশি সম্ভাবনাময়। কারণ ভারতের দিকে কয়েক কিলোমিটার দূরেই রয়েছে হলদিবাড়ি রেলস্টেশন। সীমাšেরÍ হলদিবাড়ী পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রেল লাইন স্থাপনের কাজ ইতিপুর্বেই শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্তে ০৭ দশমিক ৫০ কিলো মিটার রেললাইনের কাজ শেষ করতে পারলে ঢাকা থেকে চিলাহাটি হয়ে সরাসরি জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি হয়ে দার্জিলিং পর্যন্ত রেল যোগাযোগ চালু করা সম্ভব হবে।
স্থানীয়রা মনে করেন,স্থলবন্দরটি চালু হলে এ অঞ্চলের ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। উত্তরা ইপিজেড, দারোয়ানী টেক্সটাইল মিলে নতুন বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন শিল্পোদ্যোক্তারা। বাংলাদেশ-ভারত, নেপাল ও ভুটানকে নিয়ে চার দেশীয় যে ট্রানজিট সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে- সেটি কার্যকর করার ক্ষেত্রে চিলাহাটি স্থলবন্দর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। এই সীমান্ত থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার পূর্বে ভুটান আর ৩৫ কিলোমিটার পশ্চিমে নেপাল।
স্থানীয়রা মনে করেন,স্থলবন্দরটি চালু হলে এ অঞ্চলের ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। উত্তরা ইপিজেড, দারোয়ানী টেক্সটাইল মিলে নতুন বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন শিল্পোদ্যোক্তারা। বাংলাদেশ-ভারত, নেপাল ও ভুটানকে নিয়ে চার দেশীয় যে ট্রানজিট সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে- সেটি কার্যকর করার ক্ষেত্রে চিলাহাটি স্থলবন্দর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। এই সীমান্ত থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার পূর্বে ভুটান আর ৩৫ কিলোমিটার পশ্চিমে নেপাল।