রাজশাহীকে হারিয়ে তৃতীয় জয় সিলেটের
https://www.obolokon24.com/2019/01/bpl_79.html
ডেস্ক-বিপিএলের চট্টগ্রামপর্বটা জয় দিয়ে শুরু করল সিলেট সিক্সার্স। আজ চট্টগ্রামপর্বের প্রথম ম্যাচে সিলেট ৭৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের রাজশাহী কিংসকে। প্রথমে ব্যাট করে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৬ উইকেটে ১৮০ রানের পুঁজি গড়ে সিলেট। ১৮১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সিলেটের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে রাজশাহী মাত্র ১০৪ রানে অলআউট।
এবারের বিপিএলে এটা সিলেটের নবম ম্যাচে তৃতীয় জয়। দারুণ এই জয়ে সেরা চারে থেকে গ্রুপপর্ব শেষ করার আশা একটু হলেও উজ্জ্বল হলো সিলেটের। শিরোপার দাবি নিয়েই এবার দল গড়েছিল সিলেট। দলে ভিড়িয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নারের মতো মারকুটে ক্রিকেটারকে। ওয়ার্নারকে অধিনায়কত্বও দিয়েছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার সিলেটের দর্শকদের আশা পূরণ করতে পারেননি।
নিজেও তেমন কিছু করতে পারেননি। জেতাতে পারেননি দলকেও। সেই ওয়ার্নার বিপিএল ছেড়ে চলে গেছেন। মজার ব্যাপার হলো, চরম নির্ভরতার প্রতীক সেই ওয়ার্নারকে ছাড়াই সিলেট যেন দুর্দান্ত। আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অন্তত সেটাই প্রমাণিত। ব্যাটিং-বোলিং, দুই বিভাগেই রাজশাহীকে টেক্কা দিয়েছে অলক কাপালির সিলেট।
লেখার শুরুতে সিলেটের পুঁজিটাকে সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল বলা হয়েছে। তার মাহাত্ম্যটা এবার ব্যাখ্যা করছি। আসলে আজ সিলেটের একক কোনো ব্যাটসম্যান বিশেষ আলো ছড়াননি। বরং যারা মাঠে নেমেছেন, তাদের প্রায় সবাই কিছু না কিছু অবদান রেখেছেন। একমাত্র সাব্বির রহমান ছাড়া ব্যাট করা সবাই ছোটখাট ইনিংস খেলেছেন।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি যেমন মাত্র ৪২ রানের। ২ ছক্কা ও ৪ চারে ২৮ বলের যে ইনিংসটি খেলেছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান জেসন রয়। এছাড়া লিটন দাস ১৩ বলে ২৪, আফিফ হোসেন ২৯ বলে ২৮, নিকোলাস পুরান ১৮ বলে ১৯, অধিনায়ক অলক কাপালি ১৪ বলে অপরাজিত ১৬, পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নওয়াজ ৭ বলে ১১ ও আরও পাকিস্তানি সোহেল তানভীর ১০ বলে করেছেন অপরাজিত ২৩ রান।
রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল মোস্তাফিজ। তবে ২ উইকেট নিতে তিনি দিয়েছেন ৪৩ রান। এছাড়া কামরুল ইসলাম রাব্বি, আরাফাত সানি, সেকুগে প্রসন্ন ও রায়ান টেন ডেসকাট একটি করে উইকেট নেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ডেঞ্জারম্যান লরি ইভান্সকে হারায় রাজশাহী। একটু পর মুমিনুল ও রায়ান টেন ডেসকাটও ফিরে গেলে চাপে পড়ে যায় রাজশাহী। সেই চাপ থেকে আর বেরোতে পারেনি মিরাজের দল। বরং নিয়মিত উইকেট হারিয়ে হারের আগেই হেরে যায় তারা।
একমাত্র ফজলে মাহমুদই সিলেটের বোলারদের মোকাবিলা করতে পেরেছেন। তিনি করেছেন কাটায় কাটায় ৫০ রান। তার এই ইনিংসের পরও রাজশাহী ১৮.২ ওভারে ১০৪ রানে অলআউট। ফজলে মাহমুদ ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন রাজশাহীর আর মাত্র দুজন। টেন ডেসকাট ১২ ও জাকির হোসেন করেছেন ১৬ রান। বাকিরা টেলিফোন ডিজিট।
বল হাতে রাজশাহীর সর্বনাশ করেছেন দুই পাকিস্তানি ও দুই বাংলাদেশি। সোহেল তানভীর, মোহাম্মদ নওয়াজ এবং তাসকিন ও অলক কাপালি। তানভীর ও নওয়াজ নিয়েছেন ৩টি কের উইকেট। দুই বাংলাদেশি তাসকিন ও অলক দুটি করে। ব্যাট হাতে ১০ বলে অপরাজিত ২৩ ও বল হাতে ১৭ রানে ৩ উইকেট-ম্যাচসেরার পুরস্কারটি সোহেল তানভীরের প্রাপ্যই ছিল।
এবারের বিপিএলে এটা সিলেটের নবম ম্যাচে তৃতীয় জয়। দারুণ এই জয়ে সেরা চারে থেকে গ্রুপপর্ব শেষ করার আশা একটু হলেও উজ্জ্বল হলো সিলেটের। শিরোপার দাবি নিয়েই এবার দল গড়েছিল সিলেট। দলে ভিড়িয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নারের মতো মারকুটে ক্রিকেটারকে। ওয়ার্নারকে অধিনায়কত্বও দিয়েছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার সিলেটের দর্শকদের আশা পূরণ করতে পারেননি।
নিজেও তেমন কিছু করতে পারেননি। জেতাতে পারেননি দলকেও। সেই ওয়ার্নার বিপিএল ছেড়ে চলে গেছেন। মজার ব্যাপার হলো, চরম নির্ভরতার প্রতীক সেই ওয়ার্নারকে ছাড়াই সিলেট যেন দুর্দান্ত। আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অন্তত সেটাই প্রমাণিত। ব্যাটিং-বোলিং, দুই বিভাগেই রাজশাহীকে টেক্কা দিয়েছে অলক কাপালির সিলেট।
লেখার শুরুতে সিলেটের পুঁজিটাকে সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল বলা হয়েছে। তার মাহাত্ম্যটা এবার ব্যাখ্যা করছি। আসলে আজ সিলেটের একক কোনো ব্যাটসম্যান বিশেষ আলো ছড়াননি। বরং যারা মাঠে নেমেছেন, তাদের প্রায় সবাই কিছু না কিছু অবদান রেখেছেন। একমাত্র সাব্বির রহমান ছাড়া ব্যাট করা সবাই ছোটখাট ইনিংস খেলেছেন।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি যেমন মাত্র ৪২ রানের। ২ ছক্কা ও ৪ চারে ২৮ বলের যে ইনিংসটি খেলেছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান জেসন রয়। এছাড়া লিটন দাস ১৩ বলে ২৪, আফিফ হোসেন ২৯ বলে ২৮, নিকোলাস পুরান ১৮ বলে ১৯, অধিনায়ক অলক কাপালি ১৪ বলে অপরাজিত ১৬, পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নওয়াজ ৭ বলে ১১ ও আরও পাকিস্তানি সোহেল তানভীর ১০ বলে করেছেন অপরাজিত ২৩ রান।
রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল মোস্তাফিজ। তবে ২ উইকেট নিতে তিনি দিয়েছেন ৪৩ রান। এছাড়া কামরুল ইসলাম রাব্বি, আরাফাত সানি, সেকুগে প্রসন্ন ও রায়ান টেন ডেসকাট একটি করে উইকেট নেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ডেঞ্জারম্যান লরি ইভান্সকে হারায় রাজশাহী। একটু পর মুমিনুল ও রায়ান টেন ডেসকাটও ফিরে গেলে চাপে পড়ে যায় রাজশাহী। সেই চাপ থেকে আর বেরোতে পারেনি মিরাজের দল। বরং নিয়মিত উইকেট হারিয়ে হারের আগেই হেরে যায় তারা।
একমাত্র ফজলে মাহমুদই সিলেটের বোলারদের মোকাবিলা করতে পেরেছেন। তিনি করেছেন কাটায় কাটায় ৫০ রান। তার এই ইনিংসের পরও রাজশাহী ১৮.২ ওভারে ১০৪ রানে অলআউট। ফজলে মাহমুদ ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন রাজশাহীর আর মাত্র দুজন। টেন ডেসকাট ১২ ও জাকির হোসেন করেছেন ১৬ রান। বাকিরা টেলিফোন ডিজিট।
বল হাতে রাজশাহীর সর্বনাশ করেছেন দুই পাকিস্তানি ও দুই বাংলাদেশি। সোহেল তানভীর, মোহাম্মদ নওয়াজ এবং তাসকিন ও অলক কাপালি। তানভীর ও নওয়াজ নিয়েছেন ৩টি কের উইকেট। দুই বাংলাদেশি তাসকিন ও অলক দুটি করে। ব্যাট হাতে ১০ বলে অপরাজিত ২৩ ও বল হাতে ১৭ রানে ৩ উইকেট-ম্যাচসেরার পুরস্কারটি সোহেল তানভীরের প্রাপ্যই ছিল।