সরিষাতে ভূত-পঞ্চগড়ে ড্রেজার মেশিনের মহোৎসব
https://www.obolokon24.com/2017/04/panchagar_67.html
মোঃ তোফাজ্জল হোসেন তোতা, পঞ্চগড়- পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকায় নদীর স্বাভাবিক গতি প্রবাহ বন্ধ করে চলছে পাথর উত্তোলন। সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি দমনে সরকারের সদিচ্ছা আছে বলে আমরা মনে করি। কিন্তু এসব দুর্নীতির বিষয়ে প্রশাসন কেন নিরব এটাই ভাববার বিষয়। পঞ্চগড়ে বিভিন্ন এলাকায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনের কারণে মুরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে পঞ্চগড় তেঁতুলিয়া সহ বিভিন্ন এলাকা। কেউ কেউ দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এবং দলের নাম ভাঙ্গীয়ে অন্যায় ভাবে মাটির ৪০ থেকে ৫০ ফিট গভীর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করছে। কোথাও কোথাও দেখা গেছে মেইন সড়কের পাশে গভীর গর্ত করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অসাধু লোকেরা পাথর তুলছে। পঞ্চগড় জগদল থেকে ভজনপুর ও তেঁতুলিয়া পর্যন্ত শত শত ড্রেজার মেশিনের হিরিক। এসব ড্রেজার মেশিন মালিদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন আমরা কর্তৃপক্ষকে মেনেজ করে ড্রেজার মেশিন চালাচ্ছি।
এইসব এলাকায় সবুজ শ্যামল ফসলের মাঠকে পাথর ব্যবসায়ীরা মুরুভূমিতে পরিণত করে ফেলেছে। শুধু তাই নয় ডাহুক নদী সহ নদ-নদী গুলোতেও নদীর প্রবাহ কে বন্ধ করে আবাধে ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন হচ্ছে। তেঁতুলিয়ার বেশ কয়েকটি নদীর গতি প্রবাহকে আটকে দিয়ে এবং নদীর বুকে বালি ফেলে চলছে পাথর উত্তোলনের মহোৎসব। অনেকে নদী দখল করে নদীর বুক থেকেও পাথর উত্তোলন করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে তেঁতুলিয়া উপজেলার মাঝিপাড়া চিলকা নদীর গতি প্রবাহকে আটকে দিয়ে পাথর উত্তোলন করছে প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যবসায়ী। ছোট এই নদীর গতি পথকে বালির বাঁধ দিয়ে আটকে দিয়ে পাথরের খাদের বালি নদীতে ফেলার কারণে নদী গুলো এখন মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। এলাকার স্থানীয়রা জানান মাঝিপাড়া সহ ওই এলাকার যত নদী ও ফসলী জমি আছে সব এলাকাই মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। যার কারণে আমাদের জেলাটি বিপদমুখি,কারণ ভজনপুর তেঁতুলিয়ায় মাটির গভীর থেকে পাথর তুলার কারনে এখানকার মাটির শক্তি ক্ষমতা নেই। গবেষকের ধারণা এর ফলে সুদুর ভবিষ্যতে আমাদের বড় ধরণের সমস্যার সম্মুখিন হতে হবে। তাই এসব পাথর উত্তোলন বন্ধ হওয়া উচিত। তবে সরিষাতে ভূত থাকার কারণে এসব অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না বলে এলাকার মানুষদের ধারণা।