বালিয়াডাঙ্গীতে ২ শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর মানবেতর জীবন যাপন

বালিয়াডাঙ্গী থেকে ফিরে জে.ইতি হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি :

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় গত কয়েক যুগে নি¤œ মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও কারিগরি ও মাদরাসাসহ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এরমধ্যে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যুগপোযোগী পাঠদান ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, ভালো ফলাফল ও নিয়ম-নীতিমালা অনুসরণ করে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। কিন্তু সরকারি নিয়মমাফিক এ উপজেলার একাংশ প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ওই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠারেন শিক্ষকেরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তারা এমপিওভুক্তির সব রকম নীতিমালা অনুসরণ এবং ভাল ফলাফল অর্জন করেও এমপিওভুক্তকরণের আওতায় আসতে পারছেন না।

তবুও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন যুগ যুগ ধরে। বহুদিন পূর্বে উপজেলার হাতে গোনা কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত হলেও যুগ যুগ ধরে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষামন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন ভাবে ধরনা দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।

জানা গেছে, এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কয়েকশ শিক্ষক ও কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। বার বার চেষ্টা করেও কোনোভাবে এমিপও ভুক্ত না হওয়ায় এদেরম মধ্যে প্রায় ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

এসব প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-ডালিমপাড়া সাপটি দাখিল মাদরাসা, দূর্গাপুর দাখিল মাদরাসা, বড়পলাশবাড়ী নুরানী ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা, রহিমউদ্দীন স্মৃতি নি¤œমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, বানাগাঁও মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়, হাউদা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আধারদিঘী আর্দশ নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হরিণমারী বালিকা বিদ্যালয়, বেলহারা নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সুরমাহাট নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বেউরঝাড়ী নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোড়লহাট নি¤œ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, টাকাহারা নি¤œ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, মধ্যচাড়োল নি¤œ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, সনগাঁও চৌধুরীপাড়া নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাধবপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গান্ডিকারী আর্দশ নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মহিষমারী নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ছাগলডাঙ্গী নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ধনিবস্তি মির্জা রুহুল আমীন বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, রুপগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসা, পরদেশি পাড়া দাখিল মাদ্রাসা, মহারাজাদিঘী ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা, ভানোর ঝলঝলি এফতেদায়ী মাদ্রাসা ও কালমেঘ ভোকেশনাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
ডালিমপাড়া সাপটি দাখিল মাদরাসার সুপারিন্ডেন্টে ইবনে ফজল জানান, ১৯৯৫ সাল হতে নিজ খরচে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে। এমপিওভুক্তির জন্য সবার দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন লাভ হয়নি। এমপিও ভুক্ত না হওয়ার কারণে একদিকে যেমন শিক্ষকদের পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটছে অন্যদিকে শিক্ষার্থীরাও বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি হওয়ার জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
দ্রুত প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করে সরকারী সুযোগ সুবিধার আওতায় নিয়ে না আসলে অচিরেই প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাবে বলে ধারনা করছেন বেশির এমপিওভুক্ত না হওয়া প্রতিষ্ঠানের প্রধান।

বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুর রহমানের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, এ বছর বন্ধ হয়ে যাওয়া অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় তাদের প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম চালু করেছে। আগামীতে অন্যান্য ঝড়ে পরা প্রতিষ্ঠানগুলোও পুনরায় তাদের কার্যক্রম করবেন বলেন তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 5328687300945481098

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item