ডাকসু ইলেকশন না হলে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব শূন্য হয়ে যাবে: রাষ্ট্রপতি

ডেস্কঃ
ছাত্র রাজনীতির প্রতি সাধারণ মানুষের বর্তমান আস্থাহীনতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তা কাটিয়ে ওঠার উপর জোর দিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘ডাকসু ইলেকশন ইজ মাস্ট, তা না হলে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব শূন্য হয়ে যাবে।’ আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।এসময় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বর্তমানে বেশির ভাগ ছাত্রনেতার বয়স ৪৫ থেকে ৫০ বছর। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ছাত্রদের সঙ্গে মিশতে পারে না, তাই ডাকসুর মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করতে হবে। নেতৃত্ব নির্বাচনে অবশ্যই নিয়মিত ছাত্রদের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।’সমাবর্তনে উপস্থিত গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমাদের কাছে এ প্রত্যাশা করি যে, জীবনের সকল ক্ষেত্রে যেন সততা, নৈতিকতা বজায় রাখতে পার। সে ব্যাপারে সচেষ্ট হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যা অর্জন করেছ দেশ ও মানুষের কল্যাণে ভালোভাবে কাজে লাগাবে।’ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে নাম লেখানো আবদুল হামিদ তার সময়কার এবং বর্তমানের তুলনা করে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সময়ের রাজনীতি আর আজকের ছাত্র রাজনীতির মধ্যে তফাৎ অনেক বেশি। ষাটের দশকে আমরা যারা ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল দেশ-জাতির কল্যাণ। দেশের মানুষকে পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্ত করে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। এক্ষেত্রে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থের কোনো স্থান ছিল না।’এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্ররাই ছাত্র রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করত, নেতৃত্ব দিত। লেজুড়বৃত্তি বা পরনির্ভরতার কোনো জায়গা ছিল না। সাধারণ মানুষ ছাত্রদের সম্মানের চোখে দেখত।’এখনকার অবস্থা তুলে ধরে করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতির বর্তমান হালচাল দেখে মনে হয় এখানে আদর্শের চেয়ে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থের প্রাধান্য বেশি। কিছু ক্ষেত্রে অছাত্ররাই ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্ব দেয়, নিয়ন্ত্রণ করে।’বক্তব্য দেওয়ার আগে রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের সুপারিশে ৬১ জনকে পিএইচডি, ৪৩ জনকে এমফিল ও ১৭ হাজার ৮৭৫ জনকে গ্র্যাজুয়েট হিসেবে স্বীকৃতি দেন।এরপর ৯৪টি স্বর্ণপদকের জন্য মনোনীত ৮০ জনকে পদক দেন।পদক দেওয়ার পর বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সমাবর্তন বক্তা অধ্যাপক অমিত চাকমা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমাদ। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট এবং উপাচার্য অধ্যাপক অমিত চাকমাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট অব সায়েন্স ডিগ্রি প্রদান করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এনামউজ্জামানসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 6728776905250619537

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item